সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৩২টি গ্রাম্য হাট-বাজারে ভেজাল ও মানহীন বেকারির বিক্রির সয়লাব চলছে। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই এসব বেকারি অস্বাস্থ্যকর পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করছে। এসব পণ্য নানা কৌশলে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম ও বেনামে মোড়ক তৈরি ও প্যাকেট করে বিক্রয় করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার আয়শারহাট, আমতলা, মোল্লার হাট, বগুড়া, নেহালগঞ্জ, আদমপুর, শ্যামের বাজার, ঠাকুর বাজার, বেতাগী, খারিজ্জমা, আলীপুর, খলিশাখালী, চাঁদপুর, মধুখালী, মিয়াজির হাট, রণগোপালদী, গুলিহাট, চরঘুনি, পাগলা বাজার, আউলিয়াপুর, আরজবেগী, বউবাজার, শাহজালাল, সেন্টার বাজার, কালারানী, গোলখালী, হাজিরহাট, আমবাড়িয়া, বেদিরহাট, গছানীসহ ৩২টি গ্রাম্য হাট-বাজারে ও পাড়ায় মহল্লার দোকান গুলোতে বেকারি মানহীন পণ্য বিক্রি করা হয়। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হরেক রকম বিস্কুট, চানাচুর, কেক, পাউরুটি, মিষ্টি, সন্দেশ সবই আসে আড়াল আবডাল রক্ষা করে।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, খোলা বাজারের বেকারী বিস্কুট খেয়ে প্রায়ই বিভিন্ন বয়সের মানুষ অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। আর বাচ্চারা পেটের পিড়ায় দেখা দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভেজাল কেমিক্যাল ও নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা এসব খাবার সামগ্রী খেলে মারাত্বক স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। পেট ব্যথা, শরীর দুর্বলসহ জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আর বিএসটিআই অনুমোদন না থাকায় নামহীন ফ্যাক্টরীগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা দেখা যায়না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিন বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া যেসব বেকারি অস্বাস্থ্যকর পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করছে তাদের বিরুদ্ধে খোঁজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থ্য গ্রহন করা হবে
