২রা এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের আহত ৩ কাঠালিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী-স্ত্রী আহত চাঁন মিয়ার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরন করতে পাশে দাঁড়ালেন সেচ্ছাসেবী শোভন। বরিশাল বাণী পরিবারের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালের ডাকাত সর্দার বাদল শরীফ ঢাকায় গ্রেফতার ঝালকঠিতে মেলা শেষে পরে আছে বিধ্বস্ত খেলার মাঠ বরগুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে তীব্র ভাঙন পটুয়াখালীতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলের ৮ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেন আলী আশ্রাফ বাউফলে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের... শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ আজ উন্নত সমৃদ্ধ : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

দশমিনা থানা পুলিশ হেফাজতে শ্রমিকের মৃত্যু: ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পটুয়াখালীর দশমিনা থানা হেফাজতে লিটনের বিষপানে মৃত্যুর ঘটনার ৪ দিন পর মাদ্রাসার সুপার ও ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহতের স্ত্রী মাসুদা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আলাউদ্দিন খানের বড় ছেলে ঢাকার সিএনজিচালক লিটন খাঁ (৩৫) থানা হেফাজতে বিষপান করেন। এতে তার মৃত্যু হলে নিহতের স্ত্রী মাসুদা বাদী হয়ে ওই গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মাদ খানের ছেলে মো. জয়নাল খাঁ, মৃত মকবুল খানের ছেলে মো. মফিজ খাঁ, রুস্তুম খানের ছেলে ইউপি সদস্য মো. হালিম খাঁ, জয়নাল খার ছেলে মো. জাকির খাঁ, মাদ্রাসা সুপার মাওলানা সিহাব উদ্দিন ও হাসেম খানের ছেলে লাল মিয়া খানকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে এ মামলা করেন।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর সকালে দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া রজ্জাবিয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্নে ক্রয় করা জমিতে ঘর নির্মাণ করেন লিটন। ওই রাতেই মাদ্রাসার ডোবায় (ছোট পুকুর) বিষ প্রয়োগে মাছ মেরে ফেলা ও জমি দখলের অভিযোগ এনে লিটনের বিরুদ্ধে ৫ ডিসেম্বর মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সিহাব উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) অফিসার ও মাদ্রাসার সভাপতি তানিয়া ফেরদৌসের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

ইউএনও ওই লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন দশমিনা থানার ওসিকে। ৬ ডিসেম্বর দুপুরে খাবার টেবিল থেকে সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুন অর রশিদ সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ধরে নিয়ে আসার আধাঘণ্টা পর থানার ভেতরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় লিটন।

এ সময় থানা পুলিশ লিটনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) শেবাচিমে প্রেরণ করলে ওই রাত ১টা ১৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ওসি মো. জসিম বলেন, লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ