৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

দশ ব্যক্তির হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে তাদের নিকট ফিরিয়ে দিলো পুলিশ

এম.এ.আর নয়ন, স্টাফ রিপোর্টার:


দেশের প্রায় সব নাগরিকই বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। মোবাইল সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন৷ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোবাইল হারিয়ে যাওয়া, চুরি হয়ে যাওয়া বা ছিনতাই হয়ে যাওয়ার খবর প্রতিনিয়তই পাওয়া যায়। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারপূর্বক প্রকৃত মালিকদের কাছে তা হস্তান্তর করার খবর তেমন একটা পাওয়া যায়না। যদিও হারিয়ে যাওয়ার পর অনেকেই এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তেমন কোন অভিযোগ জানান না। কিন্তু অভিযোগ জানালে বাংলাদেশ পুলিশ যে অভিযোগটি গুরুত্বের সাথে নিয়ে হারিয়ে যাওয়া জিনিস উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা করে তার বাস্তব উদাহরণ দিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান। হারিয়ে যাওয়া ১০টি মোবাইল এবং বিকাশ একাউন্ট থেকে খোওয়া যাওয়া নগদ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে তা আবার প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দিলেন সদর থানার ওসি। বৃহস্পতিবার (১২ই নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার সময় সদর থানায় ডেকে নিয়ে প্রকৃত মালিকদের হাতে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ও নগদ টাকা তুলে দেন ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান।

উদ্ধার হওয়া ১০টি মোবাইল এবং প্রকৃত মালিকদের নাম হলো, রাজিব রায়হান – ওয়ান প্লাস প্রো, খাজাউদ্দিন – ওপ্পো, দোস্ত মোহাম্মদ স্যামসাং, মোঃ রাফিদ – ওপ্পো, সুজন আহম্মেদ – রেডমি, তৌহিদুল ইসলাম – রেডমি, টিপু সুলতান – রেডমি, মোঃ জাকির – স্যামসাং, মশিম উদ্দিন – স্যামসাং এবং মোঃ মিরাজ – হুয়াওয়ে। এছাড়া মোঃ এরশাদ নামের এক ব্যক্তির কাছে তার বিকাশ একাউন্ট থেকে খোওয়া যাওয়া ১৬ হাজার টাকা উদ্ধারপূর্বক তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে বিভিন্ন কারণবশত চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন এলাকাসহ, এলাকার বাইরে বিভিন্ন স্থান থেকে হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের মালিকগণের জিডির উপর ভিত্তি করে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের সার্বিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে সদর থানার ওসির নির্দেশে জিডিগুলোর তদন্ত শুরু করেন এসআই শামিম হাসান৷ দায়িত্ব নেওয়ার পর অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে হারিয়ে যাওয়া ১০টি মোবাইল এবং বিকাশ থেকে খোওয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হন এসআই শামিম হাসান। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত মোবাইলগুলো এসআই শামিম হাসানের উপস্থিতিতে তা প্রকৃত মালিকগণের কাছে হস্তান্তর করেন ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান।

এ সময় ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, মোবাইল বা অন্য কোন জিনিস হারিয়ে যাওয়ার পর সেটি যদি দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোন ব্যক্তির হাতে পড়লে ওই ব্যক্তিরা যদি সেই জিনিসের অপব্যবহার করে, আর আপনি যদি যথাসময়ে আইনের সহায়তা না নেন, তাহলে জিনিসটির প্রকৃত মালিক হিসেবে আপনি ওই অপব্যবহারের দায়ভার এড়াতে পারেন না। সুতরাং আপনাদের কোন জিনিস হারিয়ে গেলে আপনারা দ্রুত সে বিষয়টি পুলিশকে জানান। আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।

এ সময় হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ও টাকা হাতে পেয়ে প্রকৃত মালিকরা পুলিশের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য, এর আগেও সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে তা প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ