মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি মোঃ নূরুল ইসলাম বাদল ও ওসি (তদন্ত) আঃ হক এর বিরুদ্ধে এক যুবতী (২৩)‘র দায়ের করা ধর্ষণ চেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ সুলতান মাহমুদ মিলন ২৬ নভেম্বর (স্মারক নং-১০.১২,৭৯০০,০০০,৮১,২, ৯০৪ (২)- এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। ভুক্তভোগী ওই নারী শুক্রবার সকালে (৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বলেন, বিজ্ঞ আদালত আমার মামলার সঠিক বিচার করবেন। গত ২৯ অক্টেবার পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ দুই পুলিশ কর্তকর্তার বিরুদ্ধে মামলা (কেস নং-১২৯/২৩) করেন তিনি।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের প্রতিবেদন ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর ভাইকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তাদের পূর্ব পরিচিত আদম ব্যবসায়ী উপজেলার তাফালবাড়ীয়া গ্রামের আলকাজ উদ্দিন ও তার পুত্র সৌদি প্রবাসী নাসির উদ্দিন ৭ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা নেয়। প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী বিদেশে না নিলে টাকা উদ্ধারের জন্য ওই নারী গত ২৫ মে‘২২ থানায় নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর তদন্তের নামে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন স্থানে, পৃথকভাবে ওই নারীকে একাধিক বার ধর্ষনের চেষ্টা করে দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
লিগ্যাল এইড অফিসার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন ধর্ষণ চেষ্টার প্রত্যক্ষদর্শী কোন স্বাক্ষ্য নেই এবং স্বাক্ষীদের অনেক জবানবন্দি মামলার বিররনেও নেই। তবে, তিনি বিজ্ঞ আদালতের বিবেচনার জন্য এটাও উল্লেখ করেন, একজন প্রান্তিক পর্যায়ের নারী হয়ে থানার প্রভাবশালী দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার মত একটি গুরুতর অভিযোগ গুরুত্বহীন ভাবে বিবেচনার সুযোগ ন্ইা।
মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি নূরুল ইসলাম বাদল বর্তমানে সাতক্ষিরা পুলিশ লাইনে এবং ওসি (তদন্ত) আব্দুল হক বরিশাল আর্মড ব্যাটারিয়ান-এ ওসি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
এব্যাপারে ওসি নূরুল ইসলাম বাদল এবং ওসি (তদন্ত) আব্দুল হক সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের অহেতুক হয়রানী করার জন্য ওই নারী মিথ্যা মামলা করেছেন।