১লা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যাঃ দুইজনের মৃত্যুদন্ড

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি:
মাদারীপুর সদর উপজেলার কোটবাড়ী শ্রীনদী এলাকার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া আক্তার রিয়াকে ধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোসাম্মত দিলরুবা সুলতানা এই আদেশ দেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলো মাদারীপুর সদর উপজেলার কোটবাড়ী শ্রীনদী গ্রামের নুরু মোল্লার ছেলে মাহমুদুল হাসান মধু (৩২) এবং জালাল মোল্লার ছেলে মিলন মোল্লা (৩০)। রায় ঘোষণার সন্তোস প্রকাশ করেছে বাদী পক্ষের লোকজন।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার কোটবাড়ী শ্রীনদী গ্রামের গাউস নপ্তীর মেয়ে রাবেয়া আক্তার রিয়া ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর বিকেলে কোচিং শেষে বাড়ী ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা জোড়পূর্বক একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে। এই ঘটনায় পরের দিন নিহতের বাবা গাউস নপ্তী বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় অজ্ঞতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ তদন্ত করে একই গ্রামের নুরু মোল্লার ছেলে মাহমুদুল হাসান মধু (৩২) এবং জালাল মোল্লার ছেলে মিলন মোল্লার (৩০) সম্পৃক্ততা পেয়ে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ ৮ বছর পরে মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোসাম্মত দিলরুবা সুলতানা দুই আসামীকে দোষী সাব্যাস্ত করে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন।
মামলার বাদী গাউস নপ্তী বলেন, আমরা রায়ে খুশি। দ্রুত দোষিদের শাস্তি কার্যকর করার দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে যেন কোন মায়ের কোল খালি না হয়। তাই দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানাই।
বাদী পক্ষের আইনজীবি লিয়াকত হোসেন শিকদার জানান,এই মামলার দুই আসামী মাদারীপুর সদর উপজেলার কোটবাড়ী শ্রীনদী গ্রামের নুরু মোল্লার ছেলে মাহমুদুল হাসান মধু (৩২) এবং জালাল মোল্লার ছেলে মিলন মোল্লাকে (৩০) আদালত মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে। এছাড়াও উভয় আসামীকে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডের আদেশও দিয়েছে আদালত।
শিশু রিয়ার মা তাসলিমা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে ওই দুই আসামি ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। দুই জনের ফাঁসির রায় হয়েছে আমরা রায়ে সন্তুষ্টু।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মোছলেম আলী আকন জানান, চাঞ্চল্যকর মামলাটিতে অজ্ঞাতনামা আসামী করে নিহত রিয়ার পিতা গাউস নপ্তি ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িত মাহমুদুল হক মধু এবং মো. মিলন মোল্লা তথ্য বের হয় এবং পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। মামলার ৮ বছর পরে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা আজ এই রায় ঘোষণা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ