কাওসার হামিদ, তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:
দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে তালতলীর শুঁটকি পল্লীর জেলেদের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। ক্রমেশেই সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে ।
শনিবার(০৪ ডিসেম্বর) সকালে শুঁটকি পল্লীর জেলেদের সাথে কথা হলে তারা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে পল্লীর বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
শুঁটকি পল্লীর জেলেরা বলেন, উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে তালতলীর সোনাকাটা ইউনিয়নের আশারচর এলাকার প্রায় ৫’শতাধিক জেলে ও শুঁটকি ব্যবসায়ী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। ওড়িশায় যদি ঝড়ে আঘাতহানে তাহলে সেই প্রভাব এই আশারচর পল্লীতে পড়বে। এছাড়াও যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে তাতে জেলেদের ঘরের থাকা লাখ লাখ টাকার শুঁটকি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া ঝড়ের সময় এখানকার জেলেদের আশ্রয়ের জন্যও তেমন কোনো সাইক্লোন শেল্টার নেই। বর্তমানে সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে ও আকাশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
আশার চর শুটকি পল্লীর হাসিনা বেগম বলেন,ঘূর্ণিঝড় যদি আসে তাহলে আমরা পথে বসে যাবো। তাই খুব চিন্তায় দিন কাটতেছে আর আল্লাহ্ কাছে বলি যাতে বড় কোনো বিপদ না আসে। আর ঘূর্ণিঝড় আসলে আশ্রয় নেওয়ার কোনো স্থান নেই আমাদের এখানের জেলেদের।
শুঁটকি ব্যবসায়ী জামাল আকন বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের সম্ভাব্য আঘাতের আশঙ্কায় আশার চরের জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি জেলের ঘরে শুকনো শুঁটকি রয়েছে ঘূর্ণিঝড় হলেও এগুলো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে। এইখানের জেলেরা ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় ঝড়ের সময় অনেকটা আশ্রয়হীন অবস্থায় আছেন।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. কাওসার হোসেন বলেন, শুঁটকি পল্লীর আশেপাশে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের বিষয়ে পরিকল্পনা চলছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের গতিবিধি ও আবহাওয়া বিভাগের সংকেতের প্রতি নজর রাখা হচ্ছে ও জেলেদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে । এ ছাড়াও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সাবধানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।