নিজস্ব প্রতিবেদক :নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের এক পাষণ্ড স্বামীর নির্যাতনে তিন সন্তানের জননী হাসপাতালে ভর্তি । গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহত কে মূমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে শের-ই বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করে।আহত সুমা আকতার ডালিম(৩৫) হরিনাফুলিয়া এলাকার ২৬ নং ওয়ার্ডের মাহফুজ তালুকদারের স্ত্রী। আহত সূত্রে জানা গেছে আহত সুমা আক্তার ডালিমের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হরিনাফুলিয়া ২৬ নং ওয়ার্ডের মৃত খালেক তালুকদারের ছেলে মাহফুজ তালুকদারের সাথে।
তাদের দাম্পত্য জীবনের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মাহফুজ তালুকদার তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় এবং বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের টাকা আদায় করে। এছাড়া মাহফুজ তালুকদার একজন নারি লোভি সে বিভিন্ন নারীদের পিছনে স্ত্রীরর কাছ থেকে আনা যৌতুকের অর্থ সম্পদ খরচ করে।এবং নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করা শুরু করে।
এক পর্যায়ে মাহফুজের স্ত্রী তার অত্যাচার সইতে না পেরে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে বিষয়টি জানালে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার শালিস ব্যবস্থার মাধ্যমে তার স্ত্রী সুমা আক্তার ডালিমের নামে ৮ শতাংশ জমি লিখে দেওয়ায়। আর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাহফুজ তালুকদার আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রী উপর। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মাহফুজ তালুকদার।
আহত সূত্র আরো জানায় আহত সুমা আক্তার ডালিম একটি মাদ্রাসায় বাবুর্চি হিসেবে কাজ করে।সেখান থেকে মেয়েদের বিবাহর জন্য কিছু টাকা জমায়।আর সেই জমানোর টাকা ও স্ত্রীর নামে লিখে দেওয়ার সম্পত্তি তার নিজের নামে লিখে না দেওয়ায় মঙ্গলবার রাতে সুমাকে মারধর শুরু করে। পরে স্থানীয়রা আহতর ডাকচিৎকারে ছুটে এসে মূমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে শেবাচিমের মহিলা সর্জারিতে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর আহত স্বামী হাসপাতালে এসে তাকে মামলা না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়।
মামলা দিলে নিজে আত্মহত্যা করে স্ত্রীকে ফাসিয়ে দিবে হুমকি দিয়ে যায় বলে আহতরা জানান। আহত সুমা আক্তার ডালিম বর্তমানে শেবাচিমের মহিলা সার্জারী ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে আহত পরিবার জানাই।