নিজস্ব প্রতিবেদক: নলছিটি থানার সরমহল গ্রামের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটেদের হামলায় মা ও মেয়ে আহত হয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধা সাড়ে পাঁচটায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের মূমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে নলছিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিমে প্রেরন করে। আহতরা হলেন নলছিটি থানার সরমহল গ্রামে ইউসুব আলী হাওলাদারের স্ত্রী সাহিনা বেগম (৫০) ও তার মেয়ে রানু আক্তার (২৮)। আহত সূত্রে জানাযায় নলছিটি থানার সরমহল গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী হাওলাদারের স্ত্রী সাহিদা বেগম ও তার মেয়ে রানুকে বিভিন্ন মাদক সেবনের জন্য চাঁদা দাবি করে ও মেয়ে রানু আক্তার কে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে স্থানীয় বখাটেরা । সূত্র আরও জানায় মৃত ইউসুফ আলী র কোন ছেলে সন্তান না থাকায় রানু আক্তার তার বাবার বাড়িতে বসবাস করে এবং তার স্বামী মাহমুদ হাসান প্রবাসে থাকায় তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয় বকাটেরা। স্থানীয় তৈয়ব আলী হাওলাদারে ছেলে বকাটে বিল্লাল হাওলাদার, মিজানুর হাংএর ছেলে হৃদয় হাওলাদার ও তৈয়ব আলীর অপর ছেলে নজরুল হাওলাদার বিভিন্ন সময়ে মাদক সেবনের জন্য রানু বেগমের কাছে চাঁদা দাবি করে। আর চাঁদা না দিলে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেয় । গত শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার সময় রানু আক্তারের বসত ঘরে প্রবেশ করে বকাটে বেল্লাল, হৃদয় ও নজরুল সহ অজ্ঞাত ৫/৭ জন । এ সময় বকাটে সন্ত্রাসীরা ধারালো দা ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে রানু আক্তার ও তার মা শাহিনা বেগমকে। এই হামলার সময় রানু আক্তার এর ঘরে থাকা তার ৮ বছরের সন্তান আরিয়ান মাহমুদ ভয়ে ভীত হয়ে বাথরুমের ভিতরে আশ্রয় নেয়। শুধুমাত্র মারধরে ক্ষ্যান্ত হয়নি বখাটেরা। এ সময়ে রানু আক্তার এর পরনের কাপড় চোপড় এবং তার মায়ের কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায় ও তাদের সাথে থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন ৪ আনা করে মা ও মেয়ের ২ জোরা কানের দুল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে মূমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি।এদিকে ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেল কোন ধরনের মামলা নিচ্ছে না নলছিটি থানা পুলিশ। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা র্যাব ও পুলিশের সহযোগিতা কামনা করছে।
