পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রতিবেশী চাচার সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে ১২ বছরের কিশোরী গর্ভবতী হয়। সাড়ে পাঁচ মাসের ওই ভ্রুণ ওষুধ খাইয়ে নষ্টের অভিযোগে ইয়ার উদ্দিন নামে ওই চাচাকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়ন থেকে তাকে আটক করা হয়। অপর দিকে ওই এলাকার ভিক্টিম কিশোরীকে এ দিন উদ্ধার করে অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নে প্রতিবেশী দুই সন্তানের জনক ইয়ার উদ্দন দূর সম্পর্কের ভাতিজি কিশোরীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেন। তিনি ফুসলিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ করায় কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি কয়েক দিন আগে জানানো হয় অভিযুক্ত চাচাকে। তিনি শুক্রবার কিশোরীকে দু’টি ট্যাবলেট দিয়ে রাতে খেতে বলেন। ওই ট্যাবলেট খাওয়ার পর শনিবার সকালে তীব্র ব্যথা অনুভব করে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় স্বজনরা স্থানীয় সেবিকা (দাই) দিয়ে মৃত ভ্রুণ গর্ভপাত করালে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়দের পরামর্শে স্বজনরা কিশোরীকে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: নূর-ই আবেদীন সিফাত জানান, কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গর্ভপাত হওয়া ভ্রুণের বয়স সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় মাস হবে। গুরুতর অসুস্থ কিশোরীকে রোববার সাকালে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গাইনি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
অসুস্থ কিশোরীর অভিযোগ, প্রতিবেশী চায়ের দোকানি চাচা ইয়ার উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে জোর করে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এতে ছয় মাস আগে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার তার জ্বর হলে শুক্রবার সকালে অসুস্থ হওয়ার খবরসহ সন্তান সম্ভবার বিষয়টি চাচা ইয়ার উদ্দিনকে জানায়। চাচা অভয় দিয়ে রাতে দু’টি ট্যাবলেট দিয়ে খেতে বলে ও ভালো হয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন। ওই ট্যাবলেট খাওয়ার পর শনিবার সকাল থেকে পেট ব্যথা দেখা দেয়।
এদিকে কিশোরীর অভিযোগ পেয়ে স্থানীয়রা পালায়ন করার সময় অভিযুক্ত চাচাকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সোপর্দ করেছে।
স্থানীয় চৌকিদার মো: মানিক জানান, পুলিশ না আসা পর্যন্ত একটি কক্ষে আটকে রেখে স্থানীয়দের রোষাণল থেকে ইয়ার উদ্দিনকে নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জসীম বলেন, মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। আটক ইয়ার উদ্দিনকে পুলিশি হেফাজতে আনা হচ্ছে। মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতে পাঠানো হবে।