২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পটুয়াখালীতে মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে প্রতি মাসে দিতে হয় হাজার টাকা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক ::: ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের নির্দিষ্ট একটি রুটে দীর্ঘদিন ধরে অটোরিকশা থেকে চাঁদা তুলে আসছে বাংলাদেশ অটোরিকশা শ্রমিকলীগ নামের একটি সংগঠন।

সংগঠনটি প্রতি মাসে তিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদা তুললেও বাস্তবে শ্রমিকদের কল্যাণে এই অর্থ ব্যয় করার কোন নজির নেই। বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরগুলোতে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকরা।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুন। তবে এই সড়কের ‘পটুয়াখালী লাউকাঠী সেতু থেকে লেবুখালী পর্যন্ত’ সড়কে নিয়মিত তিন চাকার ব্যটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। আর এতে করে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এই রুটে চলাচলের অনুমতি পেতে অটোরিকশাকে প্রতি মাসে গুনতে হয় এক হাজার টাকা। বাংলাদেশ অটোরিকশা শ্রমিকলীগ নামে একটি সংগঠন টাকা তুলে প্রতি মাসে অটোরিকশাগুলোতে একটি নির্দিষ্ট স্টিকার লাগিয়ে দেয়। নির্দিষ্ট স্টিকার ছাড়া কোন অটোরিকশা এই রুটে চলাচল করতে পারে না।

তবে সম্প্রতি এ নিয়ে গত ২৭ মার্চ পটুয়াখালী জেলা শ্রমিকলীগের তৎকালীন সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, জেলা রিকশাচালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং জাতীয় রিকশা ভ্যান শ্রমিকলীগের সভাপতি ফারুক ফকির একসঙ্গে পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ প্রদান করেন। তবে মার্চ মাসে অভিযোগ দিলেও এপ্রিল এবং মে মাসেও স্টিকার দিয়ে চাঁদা তোলা অব্যাহত রয়েছে।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে পটুয়াখালী অটোরিকশা শ্রমিকলীগ সভাপতি মো. গনি হাওলাদার বলেন, ‘ডিসি এসপি স্যারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই আমরা এই সড়কে অটোরিকশা চালাচ্ছি। সংগঠন পরিচালনার করতে ব্যয় হয়। বিভিন্ন সময় আমাদের সদস্যরা দুর্ঘটনায় আহত হয়, তাদের চিকিৎসাসহ পরিবারেক সহযোগিতা করতে হয়। এসব কারণে সদস্যদের কাছ থেকে আমরা কিছু চাঁদা নেই।’

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করছি। কেউ যদি কোন অটোরিকশা চালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা সংগ্রহ করে তবে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। তবে কোন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এ বিষয় কোন অভিযোগ পাননি বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ