পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর দুমকিতে ৫ বছরের এক শিশুকে চাপা দিয়ে পালানোর সময় গাড়িসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) এক প্রকৌশলীকে আটক করেছে পুলিশ।
গুরুতর আহত শিশুটিকে পটুয়াখালী নুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিকৎসকরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার রাজাখালীর ফার্মগেট সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজাখালী গ্রামের জনৈক ছালাম শরীফের ছেলে সায়েম (৫) তার মায়ের সঙ্গে সড়ক পথে নানাবাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় বাউফল থেকে আসা একটি (ঢাকা মেট্রো-গ ৩১-৩০০৪) প্রাইভেটকার শিশুটিকে চাপা দিয়ে চালক সটকে পড়ে।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা দুমকি থানায় খবর দিলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে জেলার টোল ঘর এলাকায় থেকে গাড়িটিকে আটক করে। গাড়ির চালক জাহিদুল ইসলাম মুন্না নিজেকে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী বলে পরিচয় দেন। পরে গাড়িসহ ওই প্রকৌশলীকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এদিকে নুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু সায়েমের এখনও জ্ঞান ফেরেনি। তার বাম পায়ের হাড় পুরোপুরি ভেঙে গেছে। তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে।
রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তার অবস্থার কথা বলা যাচ্ছে না বলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সেলিম মাতুব্বর জানিয়েছেন।
দুমকি থানার ওসি মেহেদি হাসান জানান, শিশু সায়েমের মা সালমা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম মুন্নাকে আটক দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাড়িটি মুন্নার ব্যক্তিগত হলেও গাড়ির সামনে পেছনে সড়ক ও জনপদের স্টিকার লাগানো রয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন রাতেই আহত শিশুকে হাসপাতালে দেখতে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।