বরগুনা প্রতিনিধি ::: কামাল হোসেন। পেশা হিসাবে একজন গ্রাম্য ডাক্তার বা ওস্তা। গ্রামগঞ্জে গিয়ে শিশুদের খাৎনা করে বেড়ায়। তার বাড়ি বরগুনা সদর ইউনিয়নের পাজরাভাঙ্গা গ্রামে। শুরুতে ছিল বরগুনার একটি ক্লিনিকের ঝাড়ুদার। বহু বিবাহে জড়িয়ে পড়ে নালিশ আর বিয়ে সংক্রান্ত কারণে প্রতিনিয়ত ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ায় ক্লিনিক থেকে তাড়িয়ে দিলে নেমে পড়ে হাতুরে চিকিৎসা ব্যবসায়।
জানা গেছে, কতিথ ডাক্তার কামাল হোসেনের বর্তমান দুই জন স্ত্রী রয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত মোট ছয়টি বিয়ে করেছেন তিনি। বতর্মানে কুলসুম (৩০) নামে এক বিবাহিত নারীকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ কারণে কুলসুমের স্বামীর করা মামলায় আজ বরগুনা চীফ জুডিসিয়াল আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন মঞ্জুর না করে জেল হাজতে প্রেরণ করে কামাল হোসেনকে। গত ২০২১ সালে সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে (৯) কে খাৎনা করায়। সেই সময় ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী কুলসুম (৩০) এর উপর নজর পরে কতিথ ডাক্তার কামাল হোসেনের। এরপর থেকেই নিয়মিত আসা যাওয়া করতো কামাল হোসেন ইব্রাহিম খলিলের বাসায়।
ইব্রাহিম খলিল বরগুনা লাকুরতলা ব্রীজের ফুলঝুড়ি-গৌরিচন্না মটরসাইকেল স্ট্যান্ডের সিরিয়ালম্যান থাকায় কাজ কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে কামাল আর কুলসুমের মধ্যে গড়ে ওঠে অনৈতিক সম্পর্ক। গত ২৪ মে ইব্রাহিম খলিলের জমি বিক্রি করা নগদ দুই লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে রাত আটটায় কামাল হোসেন কুলসুমকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ইব্রাহিম খলিল গত ২১ মে বরগুনা চীফ জুডিসিয়াল আদালতে ব্যভিচারীর অভিযোগ এনে কতিথ ডাক্তার কামাল হোসেন ও তার স্ত্রী কুলসুমকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। মামলাটি বিচারক মাহাবুবুল আলম আমলে নিয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং কুলসুমের বিরুদ্ধে সমন জারী করেন।
এ ব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান লাকীর সহকারী মোঃ জাকির হোসন বলেন, বিয়ে পাগল কামাল হোসেন জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বরগুনা চীফ জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক মাহাবুবুল আলম। আসামীর চরিত্র খুবই বাজে। ঘরে এখনো তার দুটি স্ত্রী রয়েছে। সেখানে ঠিকমত সংসারে ভরণপোষণও দেয় না বলে তার স্ত্রী অভিযোগ করেছে। গরীব একজন শ্রমিকের টাকা পয়সা নিয়ে এবং তার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় পরিবারটি খুবই খারাপ অবস্থায় দিন যাপন করছে।