পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: ডিজিটাল প্রতারণার টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের হাতে তুলে দিল পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের। সোমবার (১১নভেম্বর) ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদে পড়া তিনজন ভুক্তভোগীর খোয়া যাওয়া উদ্ধার করা টাকা তাদের হাতে তুলে দেন।
সংবাদ মাধ্যমের কাছে পুলিশের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত ৫ জুলাই জেলা সদরের দক্ষিণ পূর্ব মাছিমপুর এলাকার মোঃ মোসলেম আলী হাওলাদারের ছেলে মোঃ মনিরুজ্জামান বাবলুর ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট এর পিন নম্বর হ্যাক করে ৯০,০০০ (নব্বই হাজার) টাকা হাতিয়ে নেয় একটি প্রতারক চক্র। অপর এক প্রতারণায় গত ১০ সেপ্টম্বর সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালকের পরিচয়ে পিরোজপুরের ডোম চয়নের কাছে ফোন দিয়ে নিরাপত্তা বেস্টনীর ভাতা প্রদানের কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে ৮,০০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। অন্যদিকে জুন ও জুলাই মাসে জেলার শহরতলী হুলারহাটের মরিচাল এলাকার মো. জলিল মহাজনের ছেলে মো. নাছিম হোসাইনের এক বন্ধুর ইমো ও মেসেঞ্জার আইডি হ্যাক করে বিভিন্ন সময়ে বিদেশী নম্বর দিয়ে কল করে প্রলোভন দেখিয়ে ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ টাকা) হাতিয়ে নেয় সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।
পিরোজপুর সদর থানায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে ভিকটিমদের হাতে তুলে দেওয়া হলো। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) মোঃ মুকিত হাসান খাঁন ভিকটিমদের অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রতারক চক্রকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। সংশ্লিষ্ট থানার সহযোগিতায় টাকাগুলো উদ্ধারে সক্ষম হয়।
পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের বলেন, প্রতারকচক্র বিকাশ-নগদ ও অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক করে এবং অন্যের মেসেঞ্জার-ইমো হ্যাক করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে এ টাকা হাতিয়ে নেয়। চক্রটি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, নড়াইলের সদর ও কালিয়া থানা এবং ফরিদপুরের ভাংগায় বসে অপরাধ সংগঠিত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।