পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নাজিরপুরে যৌতুকের দাবীতে ফারজানা বেগম (২০) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ওই গৃহবধু উপজেলার দেউলবাড়ি দোবরা ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মো. জুয়েল মোল্লার স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের বিলডুমুরিয়া গ্রামের তাজ উদ্দিন মাঝির কন্যা। নিহতের পিতা তাজ উদ্দিন জানান, গত আড়াই বছর আগে তার কন্যা ফারজানাকে সোনাপুর গ্রামের মো. মোশারেফ মাঝির ছেলে জুয়েল মোল্লার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের সময় জামাতাকে যথাযথ উপহার সামগ্রী দেয়া হলেও বিয়ের পর থেকে জামাতা জুয়েল কন্যাকে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে মারধর করে আসছে । গত মঙ্গলবার (০১ জুন) রাতে একই কারনে আমার কন্যা ফারজানাকে মারধর করে হত্যার পর ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে । ওই রাতের ১২টার দিকে জামাতার ভগ্নিপতির মাধ্যমে তাকে ( তাজ উদ্দিন) ফোন দিয়ে কন্যা ফারজানা অসুস্থ বলে জানানো হয়। ফারজানার পিতা ও তাদের বাড়ির লোকজন সেখানে গিয়ে কন্যার মৃত্যু দেহ দেখেন। তিনি আরো জানান, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটানার পর থেকে নিহত গৃহবধুর স্বামী পলাতক ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার কোন সাক্ষাৎ নেয়া সম্ভব হয় নি। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.নাজমুল হোসেন জানান, নিহত গৃহবধুর ডান পায়ের হাটুর উপরে পিটানোর লাল চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে তাকে মারধরের কারনে সে স্বামী বা পরিবারের উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে। ময়না তদন্তের পর তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা যাবে।
