হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলার পূর্ব পাতাকাটা মেহের আলী সিনিয়র মাদরাসার মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নূরুল ইসলাম পাশা তালুকদারের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে ৩ জন শিক্ষক নিয়োগ, মাদরাসার অর্থ ও উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতির ১০টি অভিযোগ এনে ওই মাদরাসার সুপার মাওলানা মোঃ আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দাখিলের বিষয়ে আমতলী রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাতাকাটা মেহের আলী সিনিয়র মাদরাসার সুপার মাওলানা মোঃ আবদুল হাই।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পাতাকাটা মেহের আলী সিনিয়র মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল ইসলাম পাশা তালুকদারের নাম দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ১০টি দুর্ণীতির অভিযোগ এনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সেই অভিযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম পাশা তালুকদার দাতা সদস্য উল্লেখ করে স্বাক্ষর দেয়া হলেও তিনি ওই মাদরাসার দাতা সদস্য নন, তিনি হলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। কিছুদিন পূর্বে উক্ত অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত হয়ে অত্র মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের স্মরনাপন্ন হইলে তিনি তার নাম দিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে আমাকে জানায়। কে বা কাহারা তার স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে জেলা প্রশাসকের বরাবরে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেছেন। ওই অভিযোগ পত্র তিনি দেননি মর্মে নিজ হাতে স্বাক্ষর করে একটি আবেদন বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রদান করেন। ওই আবেদনে স্বাক্ষরকালে তার দুই পুত্র মোঃ নজরুল ইসলাম বাদল ও সোহাগ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, এই মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের সাথে মাদরাসার ৪ জন শিক্ষক ও জড়িত রয়েছে। এরা হলেন সহ- সুপার মোঃ আব্দুর রব, সহঃ শিক্ষক (গণিত) মোঃ জাকির হোসেন, সহঃ মৌলভী মোঃ মজনুল হক ও সহঃ শিক্ষক (শরীর চর্চা) মোঃ জামাল উদ্দিন। এই ৪ জন শিক্ষককে মাদরাসার তহবিল তছরুপ ও ছাত্র- ছাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহারসহ নানাবিধ অপকর্ম করায় তাদেরকে শোকজ করি। শোকজের জবাব না দিয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উল্লেখিত শিক্ষকরাই অসৎ উদ্দেশ্যে আমাকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম পাশা তালুকদারের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে জেলা প্রশাসকের বরাবরে আমার বিরুদ্ধে ১০টি মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেছেন। আমি উল্লেখিত মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে সুষ্টু তদন্তপূর্বক বিচার দাবী করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আমান উল্লাহ তালুকদারসহ মাদরাসার ১২জন শিক্ষক- শিক্ষিকার মধ্যে ৮ জন উপস্থিত ছিলেন।