বরগুনা প্রতিনিধি ::: বরগুনায় পুলিশের ওপর হামলা করে রিমান্ডের সাত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বরগুনা সদর হাসপাতালে আসামিপক্ষের লোকদের হামলায় পুলিশের চার সদস্যসহ হাসপাতালের পাঁচ কর্মচারী আহত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মাসের ২০ তারিখে তালতলী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ও তালতলী উপজেলা জিয়া মঞ্চেরে কার্যালয় ভাঙচুর করে তালতলী উপজেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতা ‘টাচ মিজান’ ও তাঁর অনুসারীরা। এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে তালতলী থানায় মামলা করেন তালতলী উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক জাকির খলিফা। ওই মামলায় ‘টাচ মিজান’সহ ৭ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আসামিরা হলো– মো. মিজান ওরফে টাচ মিজান, মো. রাকিব, মো. জাহিদ, মো. খলিল মিয়া, ইমার ওরফে বাটন ইমরান, আরিফ ও ইউসুফ মিয়া।
রিমান্ডে নেওয়ার আগে আসামিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য তাদের আজ দুপুরে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান মামলার তদন্ত করে কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম। এ সময় অসমিপক্ষের লোকেরা পুলিশের ওপর হামলা করে আসামিদের সিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হাসপাতালের কর্মচারীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরও মারধর করা হয়।
এই হামলায় আহত পুলিশের চার সদস্য হলো– মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম, অন্তর, ফোরকান, ও রিয়াজুল ইসলাম। খবর শুনে জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে ওই সাত আসামিসহ হামলার ঘটনা জড়িত আরও তিনজনকে আটক করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘তালতলী থানায় দ্রুত বিচার আইনে করা একটি মামলায় সাতজন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করি। আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আগে আসামিদের শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ সময় আসামি পক্ষের লোকজন অতর্কিত হামলা করে। হামলায় আমিসহ চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি। এছাড়াও হাসপাতালে পাঁচজন কর্মচারী আহত হয়েছে।’
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মো. বশির আলম বলেন, ‘তালতলী থানার একটি মামলার রিমান্ডের আসামি পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার খবর শুনে হাসপাতালে যাই। পরে সাত আসামিসহ তিন হামলাকারীকে আটক করি। বাকি হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’