বরগুনা প্রতিনিধি ::: বরগুনা সদর উপজেলায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে জোড়া লাগানো যমজ কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে।
বুধবার (৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরগুনা শেফা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হসপিটালে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি সম্পন্ন হয়।
এ দুই নবজাতকের পেট একত্রে জোড়া লাগানো। তবে, তাদের হাত, পা, মুখ ও মাথা আলাদা। জন্মের পর থেকে শিশু দুটি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।
জোড়া শিশুর জন্ম দিয়েছেন মাহামুদা আক্তার নামের গৃহবধূ। বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের মধ্য কাজিরাবাদ গ্রামের বাদশার স্ত্রী তিনি। বাদশা পেশায় গার্মেন্টস কর্মী।
হাসপাতাল থেকে জানা যায়, বুধবার দুপুরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রসূতি, গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা ডরোথী এবং ডা. শিলা প্রসূতির অস্ত্রোপচার করেন। জোড়া শিশুরা সুস্থ আছে।
এদিকে জোড়া লাগানো শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাদশা-মাহমুদা দম্পতি। সন্তান দুটোর দেখভালসহ চিকিৎসা ও তাদের আলাদা করতে যে খরচ হবে তা মেটানোর সামর্থ্য নেই পোশাকশ্রমিক বাদশার।
এ বিষয়ে শিশুদের মামা মো. তরিকুল ইসলাম রোকন বলেন, আমার বোনজামাই বাদশার আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। জোড়া লাগানো যমজ শিশু নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন। শিশুদের আলাদা করার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন।
শিশুদের দাদি আনওয়ার বেগম বলেন, স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে শিশু দুটি আলাদা করা সম্ভব। তবে, বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় হবে। নিজের স্বল্প আয় দিয়ে এ ব্যয় বহন করা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব নয়। নবজাতকদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় প্রশাসন এবং সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগিতা চাই আমরা।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রসূতি, গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা ডরোথী বলেন, আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখতে হবে বাচ্চা দুটির হৃৎপিণ্ড এবং পাকস্থলী আলাদা কি না। এগুলো আলাদা হলে অস্ত্রোপচার করে তাদের পৃথক করা সম্ভব।
তাদের যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় জাতীয় শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন তিনি।