হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
ধানের পরাগায়নের সময় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় ও আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় (গরম বাতাসে) বরগুনার আমতলী উপজেলায় প্রায় শতাধিক কৃষকের চলতি বোরো ধান বিনষ্ট হয়ে গেছে। একদিকে করোনার ছোবলে সর্বশান্ত অন্যদিকে প্রয়োজনীয় ফসল ঘরে তুলতে না পারায় হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
সম্প্রতি আমতলী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড় ও গরম বাতাস। একদিন পরে হঠাৎ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক স্থানীয় কৃষকের ১২০ হেক্টর জমিতে চাষকৃত বোরো ধানের শীষ সাদা বর্ণ ও চিটা হয়ে যায়। এ বোরো ধান বিনষ্টের জমির পরিমাণ দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কায় রয়েছে স্থানীয় কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৩১০ হেক্টর। কিন্তু হঠাৎ ধানের পরাগায়নের সময় কালবৈশাখী ঝড় ও তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে অধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় আগাম জাতের বোরো ধানের শীষ বিনষ্ট হয়ে সাদা বর্ণ হয়ে গেছে। এতে শতাধিক কৃষকদের রোপনকৃত ১২০ হেক্টর জমির বোরো ধান বিনষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।
উপজেলার মহিষডাঙ্গা ও খাকদান এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানায়, ধানের পরাগায়নের সময় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় ও গরম বাতাসে আমাদের জমির রোপনকৃত আগাম জাতের বোরো ধান সাদা বর্ন হয়ে চিটা হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেন, ধানের পরাগায়নের সময় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় ও আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শতাধিক কৃষকের চাষকৃত বোরো ধানের শীষ সাদা বর্ণ ও চিটা হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের অচিরেই প্রণোদনা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তিনি আরো বলেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কৃষকদের বোরো ধান ক্ষেতে সার্বক্ষণিক পানি ধরে রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।