হারুন অর রশিদ,
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠার দুই মাস পরে প্রেমিক কর্তৃক সংঘবন্ধ ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন প্রেমিকা (১৭) বয়সের এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (১২ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার কুলাইরচর গ্রামে। আজ (সোমবার) দুপুরে পুলিশ প্রেমিকসহ অপর সহযোগিকে গ্রেফতার করেছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ভূক্তভোগী ভিকটিম ও স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনাখালী গ্রামের ১৭ বছরের কিশোরীর সাথে গত ২ মাস পূর্বে কুলাইরচর গ্রামের ইউসুফ মৃধার পুত্র ১ সন্তানের জনক জুয়েল মৃধা (২২) মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গতকাল সকালে ভিকটিম তার খালাবাড়ী গাজীপুরে বেড়াতে আসে। রাত ৮টার দিকে কেনাকাটার নাম করে গাজীপুর বন্দরে গিয়ে ভিকটিম তার প্রেমিক জুয়েল মৃধার সাথে দেখা করেন। তখন ভিকটিমকে জুয়েল ও তার বন্ধু কাওসার মোল্লা কৌশলে কুলাইচর গ্রামে নিয়ে যায়। তারপর রাত অনুমান ১০টার দিকে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে জুয়েল ও কাওসার একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে রাত ১২টার দিকে কাওসার ভিকটিমকে গোপনে তাদের বাড়ীতে তার রুমে নিয়ে রাখে।
আজ (সোমবার) ভোরে ধর্ষক কাওসারের রুম থেকে বের করে রাস্তায় ছেড়ে দেয়া হয়। ভিকটিম কান্না করতে করতে রাস্তা দিয়ে টেপুরা বাজারের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় পথচারী বাবুল শিকদার নামে এক ব্যক্তি ভিকটিমকে কান্না করতে দেখে কৌতুহল বসতঃ কারন জিজ্ঞেস করে। সব কথা শুনে বাবুল শিকদার ভিকটিমকে স্থাণীয় ইউপি সদস্য জোসেফ তালুকদারের বাড়ীতে পৌছে দেয়। পরে স্থাণীয় চৌকিদার পাঠিয়ে জুয়েল ও কাওসারকে ধরে নিয়ে আসে। আমতলী থান পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনা সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় প্রেমিকসহ অপর সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণের স্বীকার ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আগামীকাল ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য কোর্টে আবেদন করা হবে।
