২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দল গঠন করে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আ.লীগ : মাসুদ সাঈদী মাত্র ৮ মাসেই হেফজ সম্পন্ন করে সাড়া ফেললো নাজিরপুরের শিশু নাফিউল আমতলীতে বিদ্যালয়ের নামাজ কক্ষে শিক্ষক দম্পতির সংসার! গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল পরিস্কারে ছাত্ররা বাকেরগঞ্জে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধা নারীকে হত্যার চেষ্টা ।। ক্ষতিপূরণ পাবে পরিবার, ববি শিক্ষার্থী মাইশার নামে হচ্ছে ফুটওভার ব্রিজ মনপুরায় জাতীয় সমবায় দিবস পালিত উজিরপুরে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত।  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ২০ দিনে ৫৯৬ জেলের কারাদণ্ড

বরগুনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :: জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বৃদ্ধ সোনা মিয়া শুনু হাওলাদারকে (৭০) তার ফুফাতো ভাই মেনাজ ফকির ও তার লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার পুর্ব সোনাখালী গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে।

পুলিশ নিহত সোনা মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব সোনাখালী গ্রামের সোনা মিয়া হাওলাদারের সাথে তার ফুফুাতো ভাই পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের কাঞ্চনবাড়ীয়া গ্রামের মেনাজ ফকিরের সাথে এক একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ওই জমিতে মেনাজ ফকির ২০-২২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষাবাদ শুরু করেন। খবর পেয়ে সোনা মিয়া হাওলাদার তাদের জমি চাষাবাদে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় ফুফাতো ভাই মেনাজ হাওলাদার। এক পর্যায় মেনাজ ফকির, মোতালেব, আদম আলী ফকির, আবুল মৃধা, মোস্তফা ও তার লোকজন বৃদ্ধ সোনা মিয়া হাওলাদারকে মারধর শুরু করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। বৃদ্ধ সোনা মিয়াকে রক্ষায় তার ছোট ভাই মোঃ আব্দুর রশিদ হাওলাদার এগিয়ে গিয়ে মেনাজ ফকিরের পা জড়িয়ে ধরে কাকুতি মিনতি করে ভাইয়ের প্রাণ ভিক্ষা চায়। কিন্তু তাতে তার মন গলেনি। সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকাবাসী সোনা মিয়াকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। ঘাতক মেনাজ ফকির ও তার লোকজন সোনা মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে বীর দর্পে লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

খবর পেয়ে আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই দিন বিকেলে পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। বৃদ্ধ সোনা মিয়াকে প্রকাশ্যে দিবালোকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী সোনা মিয়ার হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মেনাজ ফকিরের নেতৃত্বে ২০-২২ জন সন্ত্রাসী এসে জমিতে চাষাবাদ শুরু করে। এতে বাঁধা দেয় সোনা মিয়া হাওলাদার। এক পর্যায় তারা সোনা মিয়া হাওলাদারকে পিটিয়ে হত্যা করে বীর দর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় আমরা শাস্তি দাবী করছি।

নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের ছোট ভাই আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, ভাইকে রক্ষায় আমি মেনাজ ফকিরের পায়ে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করেছি। কিন্তু তাতে মেনাজ ফকির ও তার লোকজনের মন গলাতে পারিনি। তারা আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনায় বিচার দাবী করছি।

নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের ছেলে জালাল হাওলাদার বলেন, আমার বাবাকে মেনাজ ফকির, মোতালেব, আদম আলী ফকির, আবুল মৃধা, মোস্তফাসহ ২০-২২ জন সন্ত্রাসী পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে। তিনি আরো বলেন, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সর্বশেষ