৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরগুনায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, ৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি ::: মায়ের সামনে থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে খুনের ভয় দেখিয়ে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাত দিনেও স্কুলছাত্রী উদ্ধার না হওয়ায় রোববার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন স্কুলছাত্রীর বাবা।

ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সাত দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে। আসামিরা হলেন- পাশের পূর্বচিলা গ্রামের নজির হাওলাদারের ছেলে বায়েজিদ (২১), তার বাবা নজির হাওলাদার ও মা রেহানা বেগম।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।

জানা যায়, বাদীর মেয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি মাধ্যমিকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। আসামি বায়েজিদ ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্ত্যক্ত করে। স্কুলছাত্রীর বাবা বিষয়টি জেনে বায়েজিদের পরিবারের কাছে অভিযোগ দেন। এতে বায়েজিদ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে। স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত বছর ২ ডিসেম্বর স্কুলছাত্রীকে বায়েজিদ জোর করে অপহরণ করে নেওয়ার সময় সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা হয়। কয়েক দিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ থাকে। তখন মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে মামলা করেনি।

এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে পাশের গ্রাম থেকে মেয়েকে নিয়ে আসার পথে বাড়ির সামনে বায়েজিদ তার দলবল নিয়ে তিনটি মোটরসাইকেলে এসে স্কুলছাত্রীকে মায়ের সামনে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

মেয়ের মা বলেন, বায়েজিদ একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমি মা হয়েও মেয়েকে রক্ষা করতে পারিনি। সাত দিনেও আমার মেয়েকে পাওয়া যায়নি। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তাও জানি না। বায়েজিদের বাবা-মায়ের কাছে গেলে তারা বারবার আমাদের বলে মেয়েকে ফেরত দেবে। আমার বিশ্বাস বায়েজিদ আমার নাবালিকা মেয়েকে কোথাও আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। আমি আমতলী থানায় ১০ ফেব্রুয়ারি মামলা করতে যাই। থানা মামলা নেয়নি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাকাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ ব্যাপারে আমতলী থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। বায়েজিদের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।

সর্বশেষ