২রা এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের আহত ৩ কাঠালিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী-স্ত্রী আহত চাঁন মিয়ার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরন করতে পাশে দাঁড়ালেন সেচ্ছাসেবী শোভন। বরিশাল বাণী পরিবারের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালের ডাকাত সর্দার বাদল শরীফ ঢাকায় গ্রেফতার ঝালকঠিতে মেলা শেষে পরে আছে বিধ্বস্ত খেলার মাঠ বরগুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে তীব্র ভাঙন পটুয়াখালীতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলের ৮ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেন আলী আশ্রাফ বাউফলে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের... শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ আজ উন্নত সমৃদ্ধ : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

বরগুনায় শ্যালকের বউ অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বরগুনা প্রতিনিধি :: শ্যালকের বউকে অপহরণ মামলায় দুলাভাইকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপর সাতজনকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার সকালে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় ৭ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। আসামি মিরাজ পলাতক।

বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সহকারী পিপি জানান, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ছোট টেংরা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে জাকির হাচান বাদী হয়ে ওই ট্রাইব্যুনাল ২০১২ সালের ১৭ মে আটজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

আসামিরা হলো, বড় টেংরা গ্রামের মতিয়ার রহমান সরদারের ছেলে বাদীর দুলা ভাই শাহ আলম (৪৫), শাহ আলমের সহযোগী আউয়াল গাজীর ছেলে আজিজুল হক হানিফ গাজী (৪৭), এনছান জোমাদ্দারের ছেলে হারুণ জোমাদ্দার(৪৬), আবুল কালামের ছেলে রাসেল (৩০), হাবিব সরদারের ছেলে মিরাজ (৩৭), তানজের আলীর ছেলে আবুল কালাম (৪০), হোসেন আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৪০) ও ইউসুফ আকনের ছেলে ওচমান (৩৮)।

আরো পড়ুন: রাজশাহীর চারঘাটে বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা

মামলার বাদী জাকির হাচান বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে তার দুলাভাই শাহ আলম ও তার সহযোগীরা ওই বছরের ১০ মে বাদীর বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ফাতেমা বেগমকে তার স্বামী কোথাও না পেয়ে ট্রাইব্যুনালে ওই ৮ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা পাথরঘাটা থানার এসআই আবদুস সত্তার ওই বছরের ৩০ আগস্ট আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে এ রায় প্রদান করেন।

বাদী বলেন, আমার দুলা ভাই শাহ আলম আমার স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমাকে তালাক দিয়ে দুলাভাই বিয়ে করে।

আদালতের বারান্দায় শাহ আলম বলেন, ফাতেমা স্বেচ্ছায় আমার সঙ্গে গিয়েছে। আমরা এখন স্বামী-স্ত্রী। আমাদের দুইটি সন্তান আছে।আমাদের অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা হাইকোর্টে আপিল করব।

বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এ পিপি আশরাফুল আলম বলেন, এটি যুগান্তকারী রায়। দুলাভাই হয়ে শ্যালকের বউকে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে করেছে। এই রায়ে অন্যরা শিখবে। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হয়।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ