মামুন-অর-রশিদ: পুরো বরিশাল শহরের পূর্বদিকের চেহারাই পাল্টে দিয়েছে সম্প্রতি নির্মাণ হওয়া দৃষ্টিনন্দন চরকাউয়া খেয়াঘাট। কীর্তনখোলার পশ্চিম দিকে তাকালে যেন জলজল করে এই ঘাটটি। পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিও লাঘব হলো। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই অনন্য উদ্যোগ নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করিয়েছেন। আর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এমন উদ্যোগের ফলে সর্ব মহলে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
এটি বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নজরে প্রথমে আনেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজন। পরে মেয়র বিসিসি কর্তৃপক্ষকে ঘাটটি করার স্টিমিট করতে বললে তারা প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকার বাজেট দেন। এরপরে ছাত্রলীগ সম্পাদক সুজনকে স্টিমিট করতে বললে তিনি মাত্র ত্রিশ লক্ষ টাকার স্টিমিট করেন।
বিসিসি’র ঐ বাজেটকে পায়ে ঠেলে মাত্র ত্রিশ লাখেই দৃষ্টিনন্দন ঘাট, মনোরম যাত্রী ছাউনি, ফুলের করিডোর, উন্নত টাইলসে পথ, ঘাটে জাতির পিতা – প্রধানমন্ত্রী – আঃ রব সেরনিয়াবাদ ও আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছবি সম্বলিত একটি সুন্দর গেট, একটি কফি সপ নির্মাণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজন।
প্রতক্ষদর্শীরা মন্তব্য করেন, এই কাজটির মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতা সুজন তার দেশ প্রেম ও সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
পারাপার হওয়া ছত্তার মোল্লা বরিশাল বাণীকে বলেন, এতো সুন্দর খেয়াঘাট আমি জীবনেও দেখিনাই। মেয়রকে ধন্যবাদ। আর যারা এটির উদ্যোগ নিয়েছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ।
স্কুলশিক্ষক সালমান হোসেন বলেন, দৃশ্যটি দেখলে মনে হয় বিদেশে আছি। খুবই ভালো লাগছে। এ কারনে খেয়াঘাট দেখতেও শত শত মানুষ ভীড় করছে।
জানা গেছে, বরিশাল চরকাউয়া খেয়াঘাট থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হন। অথচ এই ঘাটটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তির যেন শেষ নেই। প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। সরকারী ভাবে এটি সংস্কার না হলেও অবশেষে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে বিসিসি মেয়রের ব্যক্তিগত তহবিল থেকেই পুণঃনির্মাণ হয় এই ঘাট।
পারাপার হওয়া যাত্রী জসিম উদ্দিন বরিশাল বাণীকে বলেন, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। বরাদ্দ না থাকা সত্তেও তিনি নিজ অর্থায়নে এমন একটি উদ্যোগ নিয়ে আবারো প্রমাণ করলেন, তার রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য।
বাদলপাড়া এলাকার নয়ন হাওলাদার বরিশাল বাণীকে বলেন, এখানে ভোগান্তির কোন শেষ ছিলনা। অবশেষে তার অবসান হলো। মেয়র মহোদয়কে ধন্যবাদ। পাশাপাশি ট্রলারের সেচ্ছাচারিতা ও যাত্রীদের সাথে দুরব্যবহার রোধে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজন বরিশাল বাণীকে বলেন, বিসিসি মেয়র মহোদয় এর নিজ অর্থায়নে চরকাউয়া খেয়াঘাটটি পুনঃর্নির্মাণ করা হয়েছে। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে আমি উপস্থিত থেকে দিনরাত কাজ চালিয়েছি। যাত্রীছাউনিটি ঘিরে ফুলের করিডোর, বসার স্থানে টাইলস, জিআই স্টিল ব্যবহার, যাত্রীছাউনির পাশ দখল মুক্ত করে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সড়কের পাশে ফুলের বাগান করা হয়েছে। তাছাড়া খেয়াঘাট নির্মানে উন্নতমানের ইট,বালু, পাথর, সিমেন্ট, রডসহ যাবতীয় সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে ।
