নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হালখাতা মানেই পুরান হিসেব বাদ দিয়ে নতুন হিসেব খোলা। হালখাতা মানেই বাঙ্গালিদের বাৎসরিক উৎসব।হাল খাতা মানেই বৈশাখ বরন।গত শুক্রবার দক্ষিন বাংলার প্রধান বাণিজ্যিক বন্দর টরকীর “গাউছিয়া পানের আড়তে” হালখাতা অনুস্ঠিত হয়েছে।পানচাষী ক্রেতা বিক্রেতা মিলে মিলন মেলায় রূপান্তরিত হয়েছে হালখাতা অনুস্ঠান।গাধা গোলাপ রজনীগন্ধা ফুলদিয়ে সাজানো হয় গোটা পান আড়তকে।পান বিক্রেতা ক্রেতা আগন্তক অতিথীদের ফুলদিয়ে বরন করে নেয় গাউছিয়া পানের আড়ত কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বাদ জুম্মা কুরআন তেলাওয়াত দোয়া মিলাদের মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে চলে গভীর রাত পর্যন্ত এ অনুস্ঠান।মিস্টি,কাচ্চি বিরিয়ানী,চিকেন বিরীয়ানী,দধী, ফিরনী,কোল্ডড্রিংকস সহ হরেক রকমের আপ্যায়ন শেষে বাহারি রকমের মসলাদিয়ে তৈরী পান খাওয়ানের মধ্যদিয়ে হালখাতা অনুস্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।গামছা লুঙ্গি গেঞ্জি উপহারদেয়া হয় অতিথীদের। রাত সারে ৮টায় উপস্থিতি হন অনুস্ঠানের প্রধান অতিথি গৌরনদী পৌর মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান।তিনি হালখাতা অনুস্ঠানে আগত সকল অতিথীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।করোনাকালি স্বাস্থ্য বিধী সম্পর্কে সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি। সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড ও কৃষকদের নিয়ে সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন।এসময় শ্রেষ্ঠ পান বিক্রেতাদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন মেয়র হারিছুর রহমান।মেয়র বলেন আমাদের এলাকার পান শুধু দেশেই নয় এখন বিদেশেও যাচ্ছে। এসময় পানের আড়ত পরিচালক মোঃমনির হোসেন ঘরামী প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভাচ্ছা জানান।পানচাষী এবং ক্রেতারা জানান হালখাতা অনুস্ঠানের মাধ্যমে গাউছিয়া পানের আড়ত কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন।তাদের আপ্যায়নে আমরা মুগ্ধ। আড়ত পরিচালক মোঃ মনির হোসেন ঘরামি বলেন “আমাদের প্রতিস্ঠান চাষী বান্দব।সম্মানীত চাষীরা আমাদের লক্ষী এবং সম্মানীত ক্রেতারা আমাদের মেহমান”।
