নিজস্ব প্রতিবেদক ।। বরিশালের বাকেরগঞ্জের মেয়ে মোসাম্মৎ ফরিদা বেগম সুমি (২৫) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে যশোরে নিয়ে বিয়ে করে যৌতুকের জন্য অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে পাষণ্ড স্বামী ও তার পরিবার। দফায় দফায় লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ সর্বস্ব লুটি নিয়েছে ওই মেয়ের কাছ থেকে।
গত সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী হল ওই থানার দারিয়াল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ কাজলাকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শাহ আলম ফকিরের মেয়ে।
বর্তমানে আহত মুমূর্ষ অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী সুমি কে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ফুঁসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে কবির। কবির সরদার যশোরের মনিরামপুর থানার ষোলদা গ্রামের বাটার মোড় এলাকার বাসিন্দা নজরুল সরদারের ছেলে।
বিয়ের পর থেকেই ধাপে ধাপে ২ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায় ও কানের দুল স্বর্ণের চেইন ,মোবাইল, নুপুর সহ মালামাল আত্মসাৎ করেন । এখন যৌতুকের টাকা না দিতে পারলে পারিবারিক তুচ্ছ তাচ্ছিল্য বিষয় নিয়ে মারধরও হত্যা চেষ্টা চালায়।
ঘটনার দিন পুনরায় বাবার বাড়ি থেকে ১৫ হাজার টাকা যৌতুক চাইলে দিতে অস্বীকার জানায় ওই ভুক্তভোগী নারী । পরে তার প্রচন্ড স্বামী কবির ও চাচি শাশুড়ি রূপালী বেগম ও শাশুড়ি শাহিদা বেগম সহ ৩-৪ জন সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। এ সময় দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাতে আহতের মাথা ও সারা শরীরে প্রচন্ড রক্তাক্ত জখম হয়।
পরে আত্মীয়দের সহযোগিতায় জীবন নিয়ে পালিয়ে এসে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ বিষয়ে মামলাদারের প্রস্তুতি চলছে বলেও আহতের স্বজনরা আরো জানান।