মামুন-অর-রশিদ: বরিশালে আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ড (দেহ ব্যবসা) সম্পূর্ণ নির্মূল করতে এবার ব্যতিক্রম অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি।
বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম বার এর নির্দেশে ডিবি’র উপ পুলিশ কমিশনার এর সরাসরি পরিচালনায় এবার শুরু হলো ব্যতিক্রম সাড়াশি অভিযান। ইতোপূর্বের পতিতা-খদ্দের আটক ও দু’চার দিন পরেই মুক্তির মত ‘টম এন্ড জেরি’ খেলা আর হচ্ছেনা বলে বরিশাল বাণীকে নিশ্চিত করেছেন ডিবির উদ্র্ধতন এক কর্মকর্তা।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় ডিবির এসআই হেলালুজ্জামানের নেতৃত্বে এক অভিযানে নগরীর লঞ্চঘাটে অবস্থিত হোটেল সি প্যালেস এর ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম ওরফে সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হোটেলের চতুর্থ তলায় জিম্মি হওয়া দুই নারী ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। পরে কোতয়ালী মডেল থানায় হোটেল মালিক সহ দুই কর্মচারীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ডিবির এসআই হেলালুজ্জামান বরিশাল বাণীকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত দুই নারীকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে হোটেল রুমে আটকে রেখে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। অভিযানে এক আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও অন্য দুজন সুকৌশলে পালিয়ে যায়। তবে তাদেরকে আটকেও অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ডিবি পুলিশের ১টি দল নগরীর লঞ্চঘাটে অবস্থিত হোটেল সি প্যালেস এবং হোটেল স্বাগতমে অভিযান চালিয়ে পতিতা ও খদ্দের সহ ৩ জন, স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দানকারী ২ জনসহ মোট ৫ জনকে আটক করে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি’র উদ্র্ধন এক কর্মকর্তা বরিশাল বাণীকে জানান, এখন থেকে শুধু পতিতা আর খদ্দের আটক নয়। এ অনৈতিক ব্যবসার সাথে জড়িত মালিক কর্মচারীকে আইনে আওতায় আনা হবে। এমনকি তাদেরকে সহায়তা প্রদানকারীকেও ছাড় দেওয়া হবেনা। ফলে নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতে অনৈতিক কর্মকান্ড সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।