নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সদর উপজেলায় ফুজি ব্রিকফিল্ডে সংখ্যালঘু কিশোরীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে লেবার সর্দার মাসুদকে আটক করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানি গ্রামের ফুজি ব্রিক ফিল্ডে এঘটনা ঘটে।
আটককৃত মাসুদ নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে- ক্ষুধার তাগিদে যশোর থেকে বরিশালে এসে ইট ভাটায় কাজ নেন সংখ্যালঘু প্রতাব বিশ্বাস। সেই ইট ভাটার লেবার সর্দারের কু-দৃষ্টি পড়ে প্রতাব বিশ্বাসের ১৫ বছর বয়সী মেয়ের দিকে। গত শুক্রবার ২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সবাই ফিল্ডে কাজে যান প্রতাব। মেয়েটি একাই বাসায় ছিলো সেই সুযোগে লেবার সর্দার মাসুদ ওই ঘরে প্রবেশ মেয়েটিকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় পাশের ঘরে লোক চলে আসার পরে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে মাসুদ। তখন প্রতাব বিশ্বাসের মেয়ে মাসুদকে ধাওয়া করে নিয়ে রিতা নামের এক শ্রমিকের বাসার সামনে বসে লাঠি দিয়ে পিটানোর চেষ্টা করে। তখন মাসুদ মেয়েটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ফিল্ড ম্যানেজার বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়ে মেয়ের মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা রাখে বলে জানান মেয়েটির মা।
বরিশাল মেট্টোপলিটনের বন্দর থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক(এসআই) সামসুল হক ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাসুদকে আটক কর।
এ সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন ওই থানার ওসি তদন্ত। সহযোগীতা করার অপরাধে ভাটার সহকারী ম্যানেজার রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেন। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ না করেই ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। এ খবর শুনে ভাটা ছেড়ে পায়ে যায় ম্যানেজার হাবিবুর রহমান।
এব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হােসেল তালুকদারের সাথে সেল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফুজি ব্রিকফিল্ডের ম্যানেজার হাফেজ হাবিবুর রহমানের সাথে আলাপ করলে তিনি কিছুই জানেন না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।