শামীম আহমেদ :: প্রথম ধাপে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উজিরপুর পৌরসভার রাখালতলা ও ইচলাদি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে উপস্থিতি ব্যাপক হলেও ইভিএমে ধীরে চলছে ভোটগ্রহণ। অনেকের ফিংগার প্রিন্ট মিলছে না। অনেকে ভুল ভোটার স্লিপ নিয়ে আসছেন, বোতাম বুঝতে দেরি হচ্ছে ইত্যাদি। এবারই প্রথম উজিরপুর পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হচ্ছে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শুরুর দিকে বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটর উপস্থিতি ছিল কম। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র বা কেন্দ্রের বাইরে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাখালতলা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার প্রত্যুষ কুমার মন্ডল জানান, তার কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথমবার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে। তাই একটু সময় লাগছে। সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় তার কেন্দ্রে ১০২ জন ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে ইচলাদি কেন্দ্রে সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৯৮টি। উজিরপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত গিয়াসউদ্দিন বেপারী, বিএনপির শহিদুল ইসলাম খান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কাজী মো. শহিদুল ইসলাম। এখানে কাউন্সিলর পদে ২৪ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উজিরপুর পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৯২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৯৮৮ জন এবং নারী ভোটার ৫ হাজার ৯৩৭ জন। ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে ৪১টি কক্ষে (বুথ) ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ চলছে। অন্যদিকে বাকেরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রের ৪৯টি বুথে (ভোট কক্ষ) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই পৌরসভায় মোট ভোটার ১৫ হাজার ৩০৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৬৭০ জন এবং নারী ভোটার ৭ হাজার ৬৩৪ জন। মেয়র পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া নৌকা, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মনিরুজ্জামান ধানের শীষ এবং মাওলানা খলিলুর রহমান হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে আরও ৯ জনসহ মোট ৩৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিবতায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন খন্দকার জিয়াউর রহমান রিপন। পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম বলেন, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একেকটি পৌরসভার জন্য একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ, কেন্দ্রের বাইরে মোবাইল টিমে ৮ জন পুলিশ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক পৌরসভায় ২ প্লাটুন বিজিবি এবং র্যাবের ৩টি করে টিম দায়িত্ব পালন করছেন।’