১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালে উচ্ছেদ অভিযানে গুড়িয়ে দেয়া ইটভাটা ফের চালু

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ইমরান জিহাদ ::: বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের আবাসিক এলাকার মসজিদের পাশ ঘেষে গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটা বন্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হলেও ফের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে শুরু হয়েছে ইট পোড়ানো কার্যক্রম।

সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর চরকাউয়া ইউনিয়নের চরকারন্দী গ্রামের ঘোপেড় হাট এলাকায় অবৈধ হারুন ব্রিকফিল্ডের ছাড়পত্র না থাকায় ইট ভাটা বন্ধে অভিযান চালিয়ে ভাটাটি গুড়িয়ে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। তবে ভাটা মালিক হারুনের অদৃশ্য ক্ষমতা বলে আবারো শুরু হয়েছে ইটভাটায় ইট পোড়ানো কার্যক্রম। অবৈধ ড্রাম চিমনি ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও তা মানাছেন না হারুন।

গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের পার্শ্ববর্তী আবাসিক এলাকায় আইনের তোয়াক্কা না করে কাঠখড়ি দিয়ে নির্বিঘ্নে পোড়ানো হচ্ছে ইট। পাশে থাকা ফসলি জমির মাটি কেটে ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটায়। এসময় সংবাদকর্মীরা ভিডিও ধারণ করতে গেলে ছুটে আসেন
ইটভাটার মালিক হারুন ও তার ছেলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন কিশোর নিয়ে সংবাদকর্মীদের ঘেরাও করে তথ্য সংগ্রহে বাঁধা দেয়। এ সময় তাদের তোপের মুখে পড়ে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন- হারুন বাহিনীর আতঙ্কে মুখ খুলতে চায় না এলাকার লোকজন। ফসলি জমির মাটি কেটে অবাধে চালাচ্ছে ইটের ভাটা। এই ইটভাটায় ইট প্রস্তুতির জন্য বেশিরভাগ মাটি সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন নদীর পাড়ের মাটি কেটে। আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে ড্রাম চিমনি বসিয়ে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তিনি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বনাঞ্চল উজাড় করে ট্রলি ও ট্রলারযোগে কাঠ এনে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে। ফলে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল জেলার সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দীন বলেন- এরআগে ওই ইটভাটাটি অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। তারা পুনরায় নাকি ভাটা চালু করেছে বলে জেনেছি। শিগ্রই ওই ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ