বরিশাল বাণী: বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) ২৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হুমায়ুন কবীরের অপকর্মের ঘানি টানছে ওয়ার্ডবাসী। প্রকৃত প্রাপ্য ব্যক্তিদের কার্ড না দিয়ে তখন দেওয়া হয়েছিল কাউন্সিলরের আত্মীয় ও দলীয় বিবেচনায়। ব্যাপক অনিয়মে দেওয়া প্রায় ২৭০০ কার্ড
সম্প্রতি বাতিল করা হয়। এরপর নুতন করে এই ওয়ার্ডে মাত্র ৯শ কার্ড দেওয়া হয়েছে। এটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষই টিসিবির সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
২৮নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ দাবি জানিয়েছেন, অতি দ্রুত এখানে অন্তত আরো ২হাজার কার্ড দেওয়ার জন্য। প্রকৃত প্রাপ্য ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদেরকে এই সুবিধার আওতায় আনতে হবে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকা বাতিল করে অবিলম্বে প্রকৃত অসহায় পরিবারের সদস্যদের নামে টিসিবির কার্ড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বরিশাল নগরী ঘুরে দেখা গেছে, ফ্যামিলি কার্ড বাতিল হওয়ায় নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অস্থায়ী কাউন্সিলর কার্যালয়ে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির বরিশালের সহকারী পরিচালক শতদল মণ্ডল বলেন, কেন বরিশাল নগরীতে প্রায় সাড়ে ৫৮ হাজার কার্ড বাতিল হলো, তা সিটি করপোরেশন জানে। আমরা তথ্য দেইনি। জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন তথ্য দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কার্ডগুলো বাতিল তো টিসিবিই করেছে। তবে কেন বাতিল হলো, তথ্যে কি ত্রুটি ছিল, তা দেখবে সিটি করপোরেশন। তথ্যে যদি ভুল থাকে তাহলে টিসিবির কি করার আছে? তবে যাদের কার্ড বাতিল হয়েছে, তারা নতুন করে তথ্য সাবমিট করলে আবার কার্ড পেতে পারেন।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, কার্ড বাতিলের বিষয়ে করপোরেশনের কোনো দায় নেই। এটা টিসিবির বিষয়। তবে পরবর্তী সময়ে যখন নতুন করে উপকারভোগীদের কার্ড প্রদান করা হবে, তখন বাতিল হওয়ারা আবেদন করতে পারবেন।
