নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে ক্লু লেস রুমান হত্যা মামলার ঘটনায় অবশেষে জট উন্মোচন হয়েছে। এই ঘটনায় রুমানের বন্ধু আসলাম ও তার স্ত্রী খাদিজাকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। পাশাপাশি হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। টানা তিন মাস ধরে এই হত্যা পরিকল্পনা করা হয়েছিলো বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছে গ্রেফতার হওয়া দম্পত্তি।
শুক্রবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২৯ জুন রাত ১০টায় নগরীর চাঁদমারি এলাকা থেকে অটোচালক রুমান জমাদ্দারের অটো ভাড়া নিয়ে বন্ধু আসলাম ও তার স্ত্রী খাদিজা শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যায়। দুই দিন যাবৎ খোঁজ খবর না পেয়ে রুমানের খালা সুমি বেগম পহেলা জুলাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন এবং অটোরিকশা মালিক মাহিদুল ইসলাম একই দিনে একটি চুরি সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আল-আমীন তদন্তের এক পর্যায়ে বাকেরগঞ্জের শর্ষী ফাড়ি এলাকা থেকে রং পরিবর্তন করা অবাস্থায় অটোরিকশাটি উদ্ধার করেন ও একই উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়ন এর বাকরদা গ্রামের আক্কাস খানের বাড়ি থেকে ১০ জুলাই আসলাম ও তার সহযোগী স্ত্রী খাদিজাকে গ্রেফতার করেন অতঃপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বহু নাটকিয়তা শেষে রুমানকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুড়ি উদ্ধার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই দম্পতি হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে বলেন, ঐদিন বাকেরগঞ্জ থানাধীন রুমানকে রাঙামাটি নদীর পাড়ে নিয়ে অটোরিকশাটি আশি হাজার টাকায় বিক্রির কথা বললে রুমান বলেন, অটোরিকশা মালিকের সাথে কথা বলতে। একপর্যায়ে রুমানকে কিছু বুঝে উঠতে না দিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে পেট কেটে নদীতে ফেলে দেই। তিনমাস ধরে এই হত্যা পরিকল্পনা করে আসছিল বলে পুলিশের কাছে আরো জানিয়েছেন এই দম্পত্তি।