রাসেল কবির:
বরিশাল জেলার কাজীরহাট থানাধীন বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মাধবরায় গ্রামের মুত্যৃ আবু তালেব ফকিরের ছেলে সিদ্দিক ফকির (৫৫) গত ৯ সেপ্টেম্বর মাগরিব নামাজ পড়ায় মুর্হুতে ছনখলা বাজার ইস্কান্দার আলীর ফামেসী হতে ১৮ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে স্থাণীয় সূএে জানায়। চুরি করার অপরাধে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপের মুখে পড়লে অবশেষে রাতে যে কোন সময় সিদ্দিক ফকির তার বড় ভাই নয়ন ফকিরের নির্মানাধীন বিল্ডিং বসত ঘরের রুমে কিটনাশক পান করে আতœহত্যা করেছে। ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯.১৫ মিনিটে পার্শ্ববর্তী বাড়ির চম্পা বেগম ঐ ঘরে প্রবশ করলে দেখতে পায় মৃত্যু অবস্থায় পড়ে আছে। নিহতের স্ত্রী রানী বেগম জানায়, আমার স্বামী র্ফামেসী দোকানে চুরি করেছে ঘটনা সত্য। আমার স্বামী ঐ মুর্হুতেই ৭ হাজার টাকা মকলেছ মাতুব্বর ও বজলু ফকিরের নিকট দিয়েছে। শেষে সিদ্দিক মাতুব্বর, মকলেছ মাতুব্বর, জাফর ফকির, সুজন, সেকান ফকির, আলাউদ্দিন মাতুব্বর সহ শতাধিক লোকজন আমার বাড়ি আসে রাত ৯ ঘটিকায় আসলে আমি ৯ হাজার টাকা দিয়েছি। আমার নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। দাবী কৃত টাকা দিতে অপরাগত স্বিকার করলে আমার পালিত গরু নিয়ে যায়। রাত ১২ ঘটিকায় গরু পূর্নরায় আমার বাড়ি ফেরৎ দিয়ে যায়। আমার স্বামীকে কেউ মারধর করেনাই। আমার স্বামী লজ্জায় বিষ পান করেছে। মকলেছ মাতুব্বরের কাছে জানতে চাইলে ঘটনা সত্যতা স্বিকার করে বলেন গত বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদে যায় ইস্কান্দার আলী ফাঁেক দোকানে ডুকে ক্যাশ থেকে ১৮ হাজার টাকা নেওয়ার সময় দেখে ধলু হাং বিষয়টি বাজারে লোকজনদের জানিয়েছে। ইস্কান্দার নামাজ শেষে দোকানে ডুকে দেখতে পায় টাকা নেই। মুর্হুতের মধ্যে সিদ্দিক ফকিরের পিছু লাগে পথ রোধ করে তার নিকট হতে ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করে ইস্কান্দার আলী কে দেওয়া হলেও বাকি ১১ হাজার টাকা দাবী করে। এ বিষয় ইস্কান্দার আলী কে পাওয়া যায়নী ঘটনা স্থলে কাজীরহাট থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিদ্যানন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আঃ জলিল মিয়ার সাথে জানতে চাইলে তিনি জানায়, সিদ্দিক ফকিরের সভাব ভালো ছিলো না। কাজীরহাট থানা তদন্ত ওসি আঃ রহিম জানায় লাশ বরিশাল মর্গে পোষ্ট মার্ডেমের জন্য পাঠানো হয়েছে।
