নিজস্ব প্রতিবেদক :: কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে বরিশালে কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। চেকপোস্ট বসিয়ে যাচাই করা হচ্ছে বাইরে বের হওয়ার কারণ। জবাব সন্তোষজনক হলে ছাড়, না হলে মামলা কিংবা জব্দ। রেহাই পাচ্ছে না পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিও।
নির্দেশনা অমান্যকারীরা সাংবাদিক, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়েও রক্ষা পাচ্ছে না কেউ। রোববার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে নগরের আমতলার মোড়ে চলমান চেকপোস্টে পুলিশ পরিচয় দিয়েও এক ব্যক্তি রক্ষা পাননি। তার মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যরা জানান, বেলা ১১টার দিকে নগরের আমতলার মোড়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদারের উপস্থিতিতে নিয়মিত চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম চলছিল। এসময় একটি মোটরসাইকেলে হেলমেটবিহীন দুই ব্যক্তি সেখানে হাজির হন।
চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা লকডাউনের মধ্যে তাদের ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। এসময় মোটরসাইকেল আরোহীর একজন নিজেকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্য দাবি করেন এবং নিজের নাম কামরুজ্জামান, পদবি এএসআই বলে জানান।
তবে ওই সময়ে তার ডিউটি ছিল না এবং পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। এমনকী তার গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তাও দেখাতে পারেননি। তাই তার মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার জানান, নিয়মানুযায়ী চেকপোস্টে মোটরসাইকেলটি থামানো হয় এবং হেলমেটবিহীনভাবে দু’জন এক মোটরসাইকেলে আরোহণ করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে লকডাউনে বাইরে বের হওয়ার কারণও জানতে চাওয়া হয়। তবে তাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে নিজের পরিচয় দেন কিন্তু কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। আর মোটরসাইকেলটির কাগজপত্র থাকলেও তা সঙ্গে না থাকায় দেখাতে পারেননি। তাই তার মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। ওই ব্যক্তি কাগজপত্র দেখিয়ে নিয়মানুযায়ী মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে পারবেন। সবার জন্যই আইন সমান, তাতে আমাদের পুলিশ সদস্য হলেও কিছু করার নেই।
এদিকে সকাল থেকে বরিশাল নগরে প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বেড়েছে কয়েকগুণ। মোটরসাইকেলসহ পণ্যবাহী যানবাহনের চলাচলও কিছুটা বেড়েছে।
তবে মাস্ক ও হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে দু’জন আরোহী বহন রোধে গতদিনের মতো আজও কঠোরতা প্রয়োগ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
শপিংমল ও খাবারের দোকানসহ অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট বন্ধ থাকলেও নানান অজুহাতে সাধারণ মানুষ আজও বাইরে বের হয়েছেন।
জেলা-উপজেলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশের প্রচার অভিযান, টহল কার্যক্রম ও চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে জেলা ও উপজেলায় প্রশাসনের মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হচ্ছে।