নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিবাহিত তরুনি ইলার প্রেম কাহিনী যেনো বাংলা চলচ্চিত্রের কাহিনীকেও হার মানিয়েছে। শুধু শশুরালয় নয়, পুলিশকেও দৌড়ের উপর রেখেছে। পরোকিয়ায় মশগুল সুদর্শনা অষ্টাদশি ইলা কোন ভাবেই স্বামীকে মানতে নারাজ। অবশেষে নাটকিয় কায়দায় শশুরালয় থেকে বাবার বাড়িতে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যায় প্রেমিক নাজমুলের উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইলে। বিমান বন্দর থানা পুলিশের কাছে শশুর খালেক হাওলাদার ইজ্জত রক্ষার আকুতি জানালে ইলার অবস্থান নির্নয় করতে সক্ষম হয়।
গত তিনদিন পূর্বে টাঙ্গাইলের হাটিভাংঙ্গা এলাকা থেকে ইলার পরিবার তাকে নিয়ে আসে কিন্তু আর কতদিন এভাবে চলবে, এমন প্রশ্নে ইলার পরিবারের সাথে শশুরের পরিবার এখন একটি সুরাহা টানতে চায়। কারন ইতিপূর্বে এভাবে ইলা স্বামির ঘর ছেড়ে পাঁচদিন পর ফিরে এসেছিলো ।
শশুর সম্মানিত ব্যক্তি হওয়ায় এঘটনা চেপে যেতে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করলেও সত্য কী গোপন থাকে? বিষয়টি নিয়ে এখন মুখরোচক আলোচনায় একগ্রাম থেকে আর এক গ্রাম ছাপিয়ে পৌছে গেছে স্থানীয় মিডিয়া অঙ্গনে।
জানাগেছে, একবার ইলা স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিতে তখন বলা হয়েছিলো রাজশাহী পুলিশে কর্মরত পিতার কাছে ইলা বেড়াতে গেছে। কিন্তু স্থানীয়রা আগে থেকেই জানতো ইলার মায়ের সাথে তার পিতার কোনো সম্পর্ক নেই, আবার বিচ্ছেদও হয়নি। পরে নিশ্চিত হওয়া যায় এই সুদর্শনা তরুনি ইলা পরোকিয়ায় আসক্ত হয়ে এক যুবকের হাত ধরে অজানা গন্তব্যের পথ ধরে। ইলার পরিবার পাঁচ দিনের মাথায় তার সন্ধান পেয়ে ফিরিয়ে আনে। তখন শশুরালয় লোক লজ্জায় এ ঘটনা মেনে নিয়ে সুমনের সাথে মিলিয়ে দেয়।
অপর একটি সূত্র জানায়, বছর খানেক ধরে ইলা আবার নতুন করে প্রেমে পড়ে। এবার দেশি নয়, সৌদি প্রবাসি এক যুবকের সাথে মন দেওয়-নেওয়া শুরু করে। যশোরের বাসিন্দা নাজমুল নামক যুবকের সাথে সেলফোনে রংনাম্বারে ফোনাফনিতে পরিচয় হয়। সময়ের আবর্তে দু’জনার সম্পর্ক গভীর হয়ে উঠে। সম্প্রতি নাজমুলের দেশে ফেরার কথা। পরিকল্পনা অনুযায়ী নাজমুল তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাঙ্গাইলের এক আত্মীয়র বাড়িতে আগেভাগে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। প্রেমে উম্মাদ ইলা আবারো স্বামীর ঘরছেড়ে গত দশদিন পূর্বে টাঙ্গাইলে চলে যায়।
এদিকে ইলার স্বামী ও শশুরালয় বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তার সন্ধানে নামে। এক পর্যায় বরিশাল পুলিশ কমিশনারকে এই ঘটনা অবহিত করে শশুর। কমিউনিটি পুলিশের ইউনিয়ন সভাপতি হওয়ার সূত্রে পুত্রবধুকে উদ্ধারে সহায়তা চায়। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, পুলিশ কমিশনার বিমান বন্দর থানার এসি নাছরিন জাহানকে বিষয়টি দেখার আদেশ দেন। পাশাপাশি শশুর এ সংক্রান্তে থানায় একটি জিডি করে। পুলিশ এক পর্যায় ইলা টাঙ্গাইলে রয়েছে তা নিশ্চিত হয়।
সেখানেও নাটকীয়তা। নাজমুল ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেননি। ইলা অপেক্ষায় ছিলো নাজমুল আসছে, তবেই বিয়ের পিরিতে বসবে। কিন্ত বিধিবাম। পুলিশের সহায়তায় ইলার ভাই টাঙ্গাইল শহরে হাটুভাংগা সড়কে নাজমুলের নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে আচমকা উপস্থিত হলে ইলা চমকে যায়।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের যে বাড়ি থেকে তাকে উদ্বার করা হয়েছে তাদের ভাষ্য ইলাকে নাজমুলের স্ত্রী হিসেবে জানতো এবং আশ্রয় দিয়েছিলো। এদিকে তরুনী ইলা কোনো ভাবেই ফিরে আসতে নারাজ। এক পর্যায় কৌশলি ইলা নাজমুলের সাথে সৌদ্দিতে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয় এই মুহুর্তে সে বাংলাদেশে আসতে পারছে না ভিসা জটিলতার কারনে। ফলশ্রুতিতে ইলা তার ভাইয়ের সাথে ফিরে আসে বাড়িতে ।
সংগত কারনে ঐ গ্রামে কান পাতলে শোনা যায় ইলার প্রেমের মর্মকথা। যদিও দুই পরিবার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানা কৌশল নিলেও তা আর গোপন থাকেনি।