৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে স্বামী স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম।। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক পর্যায়ের সব বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা বরিশাল সিটিতে নৌকা বিজয়ের লক্ষে ১৪ দলের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত এক যুগ পর মঠবাড়িয়া পৌর নির্বাচন : কে হবেন নৌকার মাঝি! ১০টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করেছে ভোলা গোয়েন্দা পুলিশ পবিপ্রবিতে এনবিএ-র নতুন কমিটি গঠন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন : নৌকার সমর্থেন বানারীপাড়া আ.লীগ নেতৃবৃন্দের গণসংযোগ আমি সর্বাত্তকভাবে চেষ্টা করবো নগরবাসীর প্রয়োজনে কাজ করার : খোকন সেরনিয়াবাত ভোলার গ্যাস বরিশালে আনাসহ ১৭ দফা ইশতেহার হাতপাখার প্রার্থীর পটুয়াখালীতে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করল বিএনপি

বরিশালে বাসদ নেত্রী মনিষা চক্রবর্তীকে নিয়ে কানাঘুষা

বরিশাল বাণী:  বরিশালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিম্ন শ্রেণির মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য রাজনীতিক বাসদ নেত্রী মনিষা চক্রবর্তী। শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের প্রায় সকল আন্দোলনেই তাকে দেখা যায় অগ্রভাগে। আর সঙ্গত কারনেই বরিশালের মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশী কভারেজ পেয়ে থাকেন তিনি। কিন্ত এবার তাকে নিয়ে নগরজুড়ে চলছে কানাঘুষা।

সম্প্রতি সরকারি বরিশাল কলেজের নাম পরিবর্তন নিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত হয়। দুটি ভাগে ভাগ হয়েছে মানুষ। আর যে যার মতের পক্ষে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার এই দাবির পক্ষে মাঠে নামেন বাসদ নেত্রী মনিষা চক্রবর্তী।

সেখানে রিক্সা ভ্যান শ্রমিকদের নিয়ে তিনি বরিশাল কলেজের নাম পরিবর্তনের পক্ষে মিছিল করেছেন। সাথে ছিল কোমলমতি শিশুরাও। এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। বিশেষ করে মিডিয়া পাড়ায় দিনভর আলোচনায় ছিল এই বিষয়টি।

একাধিক বিশ্লেষক বলেন, নিজের মত বাস্তবায়নে নিজের ভক্তদের ব্যবহার করেছেন মনিষা। এটা এক ধরনের সেবার বিনিময় গ্রহনের মত। রিক্সা ভ্যান শ্রমিকদের এ কাজে ব্যবহার করা কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। মানুষের পাশে দাড়িয়ে আবার স্বার্থ হাসিলে তাদের ব্যবহার করাটা কোন সমাজ সেবকের কাজ হতে পারে না।

এদিকে যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরোচীফ প্রতিভাবান সাংবাদিক কাওসার হোসেন প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনে শিশুদের ব্যবহার নিয়ে । তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন:-

ছোট্ট এই কোমলমতি শিশুগুলোর বয়স কত হবে? ৪/৫ বছর; সর্বোচ্চ হলে ১০! এই শিশুগুলো আজ দুপুরে রাস্তায় দাড়িয়েছিলেন সরকারি বরিশাল কলেজের নাম পরিবর্তন করে অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে করার দাবিতে।

এই শিশুরা আদৌ কি জানেন অশ্বিনী কুমার দত্ত কে ছিলেন? দেশ ভাগের আগে এই অঞ্চলের উন্নয়নে তার অবদান কি ছিল? রাস্তায় নামার আগে যদি এই শিশুদের অশ্বিনী কুমার দত্তের জীবনী সম্পর্কে কিছুটা ধারনা মুখস্তও করানো হয়, আমি নিশ্চিত সদর রোড (বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক) পর্যন্ত গিয়ে তারা সব ভুলে গেছে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ