সাইফুল শান্ত ::: ১২ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে এসে কৃষি কাজ করে সফল হয়েছেন বরিশাল সদর উপজেলার ৭ নং চরকাউয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ আজিজুল হক। মৌসুমী সবজি ও ফসল চাষ করে সাবলম্বি হয়ে উঠেছেন তিনি।
মোহাম্মদ আজিজুল হক ৭নং চরকাউয়া ইউনিয়নের কর্ণকাঠি এলাকার বাসিন্দা। তিনি ১২ বছর সৌদী আরবে কাটিয়ে দেশে এসে কৃষি কাজের সিদ্ধান্ত নেন। প্রবাসে থাকাকালীন অবস্থায় টিভিতে শায়খ সিরাজের কৃষি বিষয় প্রতিবেদন দেখে কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহি হন তিনি এবং দেশে এসে বিভিন্ন মৌসুমী ফসল ফলান। অবশেষে একজন সফল চাষি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হন আজিজুল।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়- নিজ জমিতে লোকজন নিয়ে কাজ করছে আজিজুল হক। কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে কাজ করাচ্ছেন এবং তিনি নিজেও শ্রম দিচ্ছেন জমিতে। তিনি জমিতে ধান, মরিচ, সরিষা, মুগ ডাল, বুট, কলাই ডাল, মিষ্টি আলুসহ নানা মৌসুমী ফসল ফলান।
আজিজুল হক জানান- অনেক বছর ধরে কৃষি কাজ করছেন তিনি। নিজের জমিতেই গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন রকম ফসল ও সবজির ক্ষেত। এ বছর প্রায় পাঁচ একর জমিতে সরিষা, মিষ্টি আলু ও মরিচ চাষ করা হয়েছে। যাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ্য ৬০ হাজার টাকা। এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে, সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে এবার ফসল বিক্রি করে আসতে পারে আড়াই লাখ থেকে তিন লক্ষ টাকা।
আজিজুল হক আরও বলেন- নানা মৌসুমে বিভিন্ন ফসল ও সবজির চাষ করি। যে কারণে উৎপাদন এক এক সময় এক এক রকমের হয়। আর বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারি। এতে অনেক লাভবান হওয়া যায়। আমি বাড়িতে বসেই নিজে বীজ তৈরি করে চাষাবাদ করি। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই সরকারিভাবে আমাদের কিছু আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করুক। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে আমি এখনো কোন সুযোগ-সুবিধা পাইনি।
এ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মুরাদুল হাসান বলেন, কৃষক কৃষি ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক ঘোষিত যে কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তা দেয়া হবে। বর্তমানে কৃষকদের পারিবারিক ভাবে স্বর্নিভর করতে ও দেশের কৃষিজাত পণ্যের সার্বিক উন্নয়নে সকল প্রকার সহায়তা করতে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’’