১লা এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কাঠালিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী-স্ত্রী আহত চাঁন মিয়ার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরন করতে পাশে দাঁড়ালেন সেচ্ছাসেবী শোভন। বরিশাল বাণী পরিবারের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালের ডাকাত সর্দার বাদল শরীফ ঢাকায় গ্রেফতার ঝালকঠিতে মেলা শেষে পরে আছে বিধ্বস্ত খেলার মাঠ বরগুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে তীব্র ভাঙন পটুয়াখালীতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলের ৮ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেন আলী আশ্রাফ বাউফলে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের... শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ আজ উন্নত সমৃদ্ধ : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শোক সংবাদ সাংবাদিক বুলবুলের নানী সাহেরা খাতুনের ইন্তেকাল

বরিশালে সম্মেলনের অনুমতি পেল চরমোনাই পীরের দল

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল মহানগর ও জেলা সম্মেলনের অনুমতি পেয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস পার্ক) মহানগর শাখা এবং বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আলেকান্দা এলাকার লায়লা কনভেনশন হলে হবে জেলা সম্মেলন। দুটি সম্মেলনেই প্রধান অতিথি থাকবেন দলের দুই শীর্ষ নেতা- আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এবং নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম।

মহানগর ইসলামী আন্দোলনের নেতা এইচ এম হাসানুজ্জামান জানান, সম্মেলনের ভেন্যু হিসেবে সদর রোড অশ্বিনী কুমার হল এবং নগর ভবন সংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউ চত্বরের জন্য আবেদন করা হলেও পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসক মৌখিকভাবে ভিন্ন দুটি ভেন্যু দিয়েছেন।

এদিকে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নগরীর উত্তরে আমানতগঞ্জ মাহমুদিয়া মাদ্রাসায় বিভাগীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন হয়েছে। এ সম্মেলন ঘিরে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নগরের বান্দ রোডের হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠের মঞ্চ ও প্যান্ডেল ভেঙে দেয়। এতে করে মহানগর ও জেলা সম্মেলনের অনুমতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের ব্যানারে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমসহ শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।

ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মহানগর ও জেলা সম্মেলনের জন্য পছন্দের ভেন্যু পাইনি। অশ্বিনী কুমার হল না দেওয়ার ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন যুক্তি দিয়েছে, সংস্কারের পর রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না। আর নগর ভবন সংলগ্ন চত্বরে সমাবেশ করলে নাকি যানজট হবে। তাঁর প্রশ্ন, বন্ধ থাকলে দু’দিন আগে অশ্বিনী কুমার হলের কাছে ফজলুল হক অ্যাভিনিউ সড়ক বন্ধ করে আওয়ামী লীগ কীভাবে শান্তি সমাবেশ করল?

পছন্দের ভেন্যু না পাওয়ার বিষয়ে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামী আন্দোলনের শক্তি বৃদ্ধিকে আওয়ামী লীগ হুমকি মনে করছে। পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সোচ্চার হওয়ায় সরকার ও অনেক রাষ্ট্র অসন্তুষ্ট। এছাড়া সিটি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী নিয়ে মেয়র আতঙ্কে ভুগছেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপির সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক সম্পর্ক। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য গত রোববার রাতে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল ইসলাম লিটু বলেন, যৌক্তিক কারণে ঈদগাহ মাঠে অনুমতি দেওয়া হয়নি। অন্য কোথাও তো বাধা দেওয়া হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ