অনলাইন ডেস্ক ::: বরিশাল নগরীর দুই প্রান্তের দুটি প্রধান বাস টার্মিনালের বেহাল দশা। অল্প বৃষ্টিতেই টার্মিনালে পানি থৈ থৈ করে। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও প্রায় অচল। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিনে বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙাচোরা রাস্তা তার ওপর বাস পাকিংয়ের জায়গার এতোটাই বেহাল দশা যে শীতকালেও জমে থাকে পানি। নগরীর দ্বিতীয় প্রান্তের রূপাতলী বাস টার্মিনালের অবস্থা আরও খারাপ। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল থাকায় একটু বৃষ্টিতেই পুরো টার্মিনাল ডুবে যায়। এছাড়া টার্মিনাল ভবনটিতে পলেস্তারা খসে পড়ার পাশাপাশি ধরেছে ফাটল। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে সিটি করপোরেশনকে বলার পরও টার্মিনালগুলো সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ শ্রমিক ও চালকদের।
তারা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই টার্মিনালে পানি জমে যায়। পানিটা নেমে যাওয়া কোনো পথ বা ড্রেন নেই। এখানে জায়গাও কম; একটা গাড়ি রাখলে অন্যটি আর রাখা যায় না। সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বাস টার্মিনালটি কাশিপুরে স্থানান্তর করার কথা থাকলেও সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে নগর ভবনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের দাবি, নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলায় সংস্কার হয়নি। আর রুপাতলী টার্মিনালের মেরামতের কাজ হয়েছে বলে দাবি করলেও তার হিসেব বিবরণী প্রকাশে নারাজ তিনি।
আর দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস নব নির্বাচিত সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের। তিনি বলেন, বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। দুটি বাস টার্মিনাল আবার নতুন করে নির্মণ করা হবে।
বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার প্রায় এক হাজার বাস চলাচল করে। আর রূপাতলী বাস টার্মিনাল দিয়ে ১৮টি রুটে চলাচল করে দুই শতাধিক বাস।