নিজস্ব প্রতিবেদক ::: আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের ২১টি সংসদীয় আসনে দাখিলকৃত ১৭৩ প্রার্থীর মধ্যে চুড়ান্ত বাছাইয়ে ৩৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে। ফলে প্রত্যাহারের আগে পর্যন্ত ১৩৪ প্রার্থী প্রতিদন্ধিতার দৌড়ে টিকে রইলেন।
বাতিলকৃতদের মধ্যে সর্বাধিক আলোচিতদের তালিকায় আছেন বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে বলে রিটার্ণিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে বলা হয়েছে। তিনি এর বিরুদ্ধে আপীল করবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার আপীল না মঞ্জুর হলে বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্তও গড়াতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। এমনকি সব বিবেচনায় শাম্মী আহমদের মনোনয়ন বাতিল হলে আওয়ামী লীগকে শেষ পর্যন্ত দল থেকে বহিস্কৃত বর্তমান এমপি পঙ্কজ দেবনাথের ওপরও ভরসা করতে হতে পারে বলে মনে করছে মহলটি।
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার রিটার্র্ণিং কর্মকর্তাদের বাাইয়ে যে ৩৯ জনের মনোনয়নপত্র পত্র বাতিল হয়ে গেছে তার মধ্যে জাতীয় পার্টি ছাড়াও জাকের পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, তৃনমূল বিএনপি এবং বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
তবে বরিশাল সদর আসনে সদ্য বিদায়ী মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়পত্র টিকে যাওয়ায় এ নগরীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান এমপি জাহিদ ফারুককে নিজ দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
সোমবার চুড়ান্ত বাছাইয়ের পরে বরিশালের ৬টি আসনে ৫৫ জনের মধ্যে ১০ জনের মনোনয়ন বাতিলের পরে প্রতিদন্ধিতায় টিকে রইলেন ৪৫ জন।
পটুয়াখালীর ৪টি আসনেও ২৮ জনের মধ্যে ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় ২৪ জন টিকে আছেন।
বরগুনার ২টি আসনে ২২ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনের মনোনয়রনপত্র বাতিল হবার পরে প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত ১৭ জন প্রতিদন্ধিতায় থাকছেন।
ভোলার ৪টি আসনেও ২০ প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের মনোনয়পত্র বাতিল হবার পরে ১৭ জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন।
পিরোজপুরের ৩টি আসনেও ৩৩ প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হবার পরে ২৩ জন ভোট যুদ্ধে আছেন। এমনকি পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মনোনয়পত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় এ আসনের ৭ বারের এমপি জেপি’র আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজের সাথেই ভোট যুদ্ধে থাকতে হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
অপরদিকে ঝালকাঠির দুটি আসনে ১৫ প্রার্থীর মধ্যে ৭ জনেরই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে। তবে ঝালকাঠি-১ আসনে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত বিএনপি’র সদ্য বহিস্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীর উত্তম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে টিকে থাকলেও ঐ দলের প্রথম প্রার্থী তিনবারের এমপি বিএইচ হারুনসহ জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মনোনয়নও বাতিল হয়ে গেছে।
এবারই দক্ষিণাঞ্চলে রেকর্ড সংখ্যক জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রার্থীদের মনোনয়পত্র বাতিল হল।