২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
তেঁতুল খেলে কি শরীরের রক্ত পানি হয়ে যায়? জানুন আসল ঘটনা যেসব মডেলের ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাদ্রাসাছাত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন সারা বিশ্বে ১৬ বিলিয়ন পাসওয়ার্ড ফাঁস, উদ্বেগ সাইবার বিশেষজ্ঞদের আমি তো শাশুড়ি হয়ে গেছি: অভিনেত্রী শ্রাবন্তী সোমবার দুই ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা সচিবালয় কর্মচারীদের জামায়াতের আমিরের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক শেখ হাসিনা ও সাবেক সিইসিদের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা কোডেকের আয়োজনে কলাপাড়ায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফলজ গাছ বিতরণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: সংঘাতের ছায়া থেকে সম্ভাবনার আলোয়”

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

জুবাইয়া বিন্তে কবির

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি দাঁড়িয়ে আছে বরিশাল জেলা শহরের একমাত্র নদী কীর্তন খোলার পাশে। বলা চলে, এটিই বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যার দুই পাশে দুটি নদী বহমান। দুটি নদীতেই রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যের দুটি সেতু, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এটি জেলা শহরের কাছাকাছি হওয়ায় প্রকৃতিকে প্রাণ ভরে উপভোগ করা যায়।

এখানে বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুকেই খুব কাছ থেকে দেখতে পাবেন। গ্রীষ্মের কাঠ পোড়ানো রৌদ্র। বর্ষায় কদম ফুলের সমারোহ। শরতের শুভ্র আকাশ আর কাশফুলের সৌন্দর্য। সবুজ আর সাদা, এই দুই মিলে কাশফুল। এই দুটিই শান্তির প্রতীক। তাই কাশফুল খুব সহজে মানুষের মনকে আনন্দময় করে তুলে। আকাশের সাদা মেঘের সঙ্গে মৃদু বাতাসে কাশফুলের দোল খাওয়া প্রকৃতিতে অপরূপ মুগ্ধতা ছড়ায়। তেমনি শরতের কাশফুলের শুভ্রতায় মুগ্ধ দক্ষিণ বঙ্গের বাতিঘর খ্যাত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে কাশফুল যেমন একদিকে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে, অন্যদিকে এ নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে। পড়ন্ত বিকালে ক্যাম্পাসে ভিড় জমে শিক্ষার্থী ও বাইরের দর্শনার্থীদের।

কেউ বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসেন, কেউবা প্রিয়তমাকে নিয়ে। কেউ ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছেন, কেউবা ফুল ছিঁড়ে প্রিয়তমার স্নিগ্ধ খোঁপায় গুঁজে দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ কাশফুলের গোছা মুঠোয় করে বাড়ি ফিরছেন। এমন শেত শুভ্র কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা এই বিশ্ববিদ্যালয়।

এত সুন্দরে ভরা মনোরম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসটি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে গত ১৫ বছরে একাধিকবার আলোচনায় এসেছে আন্দোলন, বিক্ষোভ ও প্রশাসনিক অস্থিরতার কারণে। এ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন পাঁচজন উপাচার্য, যাঁদের মধ্যে তিনজনকেই বিদায় নিতে হয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে। সর্বশেষ অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে দায়িত্ব নেওয়ার আট মাসের মাথায় অব্যাহতি দেওয়া হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

উপাচার্যদের অপসারণের ধারাবাহিকতা:-
প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদের সময়ে দুটি আন্দোলন হয়। তাঁর মেয়াদ শেষে এসএম ইমামুল হক দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন, যাঁর বিরুদ্ধে দুই দফায় টানা ৫৯ দিন বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে আন্দোলন হয়। শেষপর্যন্ত সরকার তাঁকে ছুটিতে পাঠায় এবং মেয়াদ শেষ না হতেই বিদায় নিতে হয়।

তৃতীয় উপাচার্য মো. ছাদেকুল আরেফিনের সময়ও একাধিকবার আন্দোলন হয় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রভাব বিস্তার ও নিয়োগ নিয়ে। চতুর্থ উপাচার্য বদরুজ্জামান ভূঁইয়াকেও ছয় মাসের মাথায় আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হয়।

সর্বশেষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শুচিতা শরমিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। কিন্তু মাত্র আট মাসের মধ্যেই তিন দফা আন্দোলনের মুখে ১৪ মে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে উপ-উপাচার্য ড. গোলাম রব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ ড. মামুনুর রশিদকেও অপসারণ করা হয়।

আন্দোলনের নেপথ্যে কী? বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এসব আন্দোলনের মূল কারণ ছিল শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি গোষ্ঠীর ব্যক্তিস্বার্থ ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা। আন্দোলনগুলো প্রায়শই শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে পরিচালিত হয়েছে, যার ফলে সেশনজটসহ নানা শিক্ষাগত ক্ষতি হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

শ্রেষ্ঠ জয়ীতা সরকারি নলছিটি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহমুদা বেগম বলেন, “পাঁচজন উপাচার্যের কেউ-ই সম্মানজনকভাবে দায়িত্ব শেষ করতে পারেননি। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জার।”

নারী উপাচার্যের অপসারণে বিস্ময়:- বরিশাল মহিলা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, “শুচিতা শরমিন দেশের ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র নারী উপাচার্য হয়েও টিকতে পারেননি। তাঁকে অপমানজনকভাবে বিদায় করা হয়েছে। তাঁকে সুরক্ষার দায়িত্ব সরকারের ছিল, কিন্তু তা হয়নি।”

আন্দোলনের নেতৃত্বদাতাদের বক্তব্য:- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সুজয় শুভ বলেন, “বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রত্যাশা করেছে। সেটি না পেলে তারা প্রতিবাদ করেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা হানির কিছু হয়নি।”

একই গোষ্ঠী বারবার বিতর্কে’:- বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “একই গোষ্ঠী বারবার ভিসিদের ঘিরে দল তৈরি করে, সুবিধা আদায় করে এবং শেষে বিতর্কিত করে সরিয়ে দেয়। একই প্রক্রিয়ায় ইমামুল হক, বদরুজ্জামান ও শুচিতা শরমিন বিদায় নিয়েছেন।”

শিক্ষার্থীদের হতাশা:- নুসরাত, সুমাইয়া ও ইমরান বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম এ বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে দেশের সেরা ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ককিন্তু তার কোন অগ্রগতি দেখছিনা, আমরা হতাশ।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের প্রথম সাড়িতে থাকা বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মি বাহাউদ্দীন গোলাপ বলেন, “বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে দক্ষিণ জনপদের সর্বস্তরের মানুষের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অবদান ছিলো। সংগত কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তাদের অনেক প্রত্যাশাও ছিলো। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তবতায় বিগত ১৪ বছরে প্রতিষ্ঠানটি সেই প্রত্যাশা পুরণ করতে পারেনি। নবাগত উপাচার্য মহোদয়কে সবাই মিলে সহযোগিতা করলে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব।”

স্বপ্নের সোপানে নতুন কাণ্ডারি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম:- আলোহীন এক দীর্ঘ অন্ধকারের পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় যেন দেখা দিল এক আশার আলো। অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম দায়িত্ব গ্রহণ করায় নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

গত ১৫ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের নিজ কার্যালয়ে যোগদানপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি। সাদামাটা, সৌহার্দ্যপূর্ণ এক পরিবেশে দায়িত্ব নেওয়ার মুহূর্তটিও ছিল ব্যতিক্রম। ছিল না কোনো ফুলেল শুভেচ্ছা বা আনুষ্ঠানিক আয়োজন, তবে ছিল শিক্ষার্থীদের চোখে আস্থা আর শ্রদ্ধার দীপ্তি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানতে পারলাম, দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই অধ্যাপক তৌফিক আলম ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আলোচনায় শিক্ষার্থীরা তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, আন্দোলনের কারণ এবং প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। উত্তরে তিনি আশ্বাস দেন, “শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। শিক্ষার পরিবেশ সুস্থ, সচল ও জবাবদিহিমূলক করে তুলব।”

সেদিনই তালাবদ্ধ প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন ও উপাচার্যের বাসভবনের তালা খুলে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন চাবি। তখন তিনি বলেন— “এটা তোমাদের হাতে দিয়ে গেলাম। আমার মাধ্যমে যদি কোনো অন্যায় পাও, তাহলে আবার আটকায় দিও। ”এই একটি বাক্যে যেন তিনি ঘোষণা দিলেন—ছাত্রবান্ধব, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতামূলক নেতৃত্বের নতুন দিগন্তের।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম ১৯৮৬ ও ১৯৮৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগ থেকে যথাক্রমে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। গবেষণার প্রতি দুর্বার আকর্ষণ তাঁকে নিয়ে যায় জাপানে—১৯৯৭ সালে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজিতে পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা এবং ২০০২ সালে টোকিও ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রি। তিনি ১৯৯২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়ে ২০০৭ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। শিক্ষকতা, গবেষণা এবং প্রশাসনে তাঁর তিন দশকের অভিজ্ঞতা এখন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা ও গঠনমূলক উন্নয়নে নিবেদিত।

স্বপ্নের কথা, সম্ভাবনার কথা:- যোগদানের পর রাতে আমার সঙ্গে আলাপে অধ্যাপক তৌফিক আলম বলেন,“বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেবল একটি প্রতিষ্ঠান নয়—এটি একটি সম্ভাবনা, একটি স্বপ্ন। আমি চাই, এখানকার প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানকে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাতারে নিয়ে যেতে।”তিনি আরও বলেন, “আমার লক্ষ্য—শিক্ষা, গবেষণা, শৃঙ্খলা, জবাবদিহিতা এবং মানবিক মূল্যবোধে একটি আদর্শ শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ গড়ে তোলা।”

ড. তৌফিক আলম চান এমন একটি প্রশাসন, যেখানে হবে না আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, থাকবে না ক্ষমতার অপব্যবহার। বরং থাকবে সম্মিলন, সংলাপ আর শিক্ষার্থীদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা।
তিনি মনে করেন—“বিশ্ববিদ্যালয় মানে কেবল পাঠদান নয়; এটি একটি চিন্তা-চর্চার ক্ষেত্র, মানবিকতার পাঠশালা। শিক্ষার্থী যেন মানুষ হয়—সুশিক্ষিত, সংবেদনশীল ও নেতৃত্বদানে সক্ষম—সেই চর্চাকে প্রতিষ্ঠা করাই আমার অগ্রাধিকার।”

তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি, আন্তর্জাতিক সংযোগ স্থাপন, দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা বিস্তারে পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

আগামী দিনের দিগন্ত:- অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব হলেও, এই দায়িত্বকে তিনি দেখছেন আস্থার এক পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে। তাঁর প্রতিশ্রুতি—বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, পাঠদান সচল রাখা এবং সকল স্তরে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা।

সত্যিকার অর্থে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. তৌফিক আলমের পদচারণা যেন এক নবদিগন্তের সূচনা। তাঁর নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠান কি পারবে তার হারানো সম্মান পুনরুদ্ধার করতে? উত্তর সময়ই বলে দেবে। তবে এখনই বলা যায়, তাঁর আগমনে শিক্ষার্থীদের চোখে জ্বলছে এক নতুন স্বপ্নের প্রদীপ।

পরিশেষে, শিক্ষা, গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার পবিত্র অঙ্গন একটি বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে বারবার প্রশাসনিক অস্থিরতা ও আন্দোলন শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান নয়, একটি প্রজন্মের ভবিষ্যতকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কি এই চক্র থেকে বেরিয়ে একটি সুশাসিত ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে—এ প্রশ্নই এখন সময়ের দাবী।

লেখক:- জুবাইয়া বিন্তে কবির
অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট, উপসম্পাদক  বরিশাল বাণী। 

সর্বশেষ