মামুন-অর-রশিদ: দীর্ঘ দিনের সুনামকে পুজি করে কাস্টমারের সাথে প্রতারণা করে আসছিল এক সময়ের স্বনামধন্য ‘হক মিষ্টান্ন ভান্ডার’। বাশি পচা মিষ্টি পরিবেশন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরী, নির্ধারিত মূল্যের বেশী দামে বিক্রি, দায়িত্বরতদের হ্যান্ডস গ্লোভস ও ক্যাপ ব্যবাহার না করা,নোংরা পরিবেশে ও নিষিদ্ধ পণ্যের ব্যবহার সহ নানা অনিয়ম করে আসছিল এই মিষ্টির দোকানটি। এসব তথ্যের ভিত্তিতে আজ (৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাহী মেজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৮। ব্যাপক অনিয়ম প্রমানিত হওয়ায় হক মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মোঃ কবির হোসেনকে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি আগামী দিনে গ্রাহকদের সাথে কোন প্রকার প্রতারণা না করার জন্য বলা হয়।
এসব বিষয়ে হক মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মোঃ কবির হোসেন বরিশাল বাণীকে বলেন, অভিযানের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে আমাকে টার্গেট করেই অভিযান চালানো হয়েছে। কোন অনিয়ম না পাওয়ার পরেও নোংরা পরিবেশ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগে আমাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে র্যাব-৮, বরিশালের কয়েকটি আভিযানিক দল বরিশাল বিভাগের চারটি জেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অসাধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৬৭,০০০ (এক লক্ষ সাতষট্রি) হাজার টাকা জরিমানা করে এবং ০১(এক) জন মালিকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারান্ড প্রদান করেন।
র্যাব জানিয়েছে, এস ব্যবসার মালিকরা সহজ সরল মানুষকে বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে তাদের মিষ্টির দোকান ও হোটেলে অস্বাস্থ্যকর, মেয়াদ উত্তীর্ণ পঁচা বাশি খাবার, নোংরা পরিবেশে ও নিষিদ্ধ পণ্যের ব্যবহার করে হোটেল ব্যবসা করছে যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং বিপজ্জনক। তাদের হোটেল, বেকারী ও মিষ্টির দোকান পরিদর্শন করে বিভিন্ন মেয়াদ উত্তির্ণ পঁচা ও বাশি খাবার পাওয়া যায়। উক্ত মিষ্টি দোনদার ও হোটেল ব্যবসায়ীরা পঁচা বাশি খাবার রাখার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি এবং মোবাইল কোর্টের সামনে তারা দোষ স্বীকার করে। মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেটগণ বরিশাল মহানগরীর কোতয়ালী থানা হতে ০৫(পাঁচ) জন ব্যবসায়ীকে ৮০,০০০ (আশি হাজার) টাকা জরিমানা, ভোলা জেলার সদর থানায় ০৩ (তিন) জন ব্যবসায়ীকে ৪৫,০০০ (পয়তাল্লিশ হাজার) টাকা জরিমানা এবং ০১(এক) জনকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। ঝালকাঠি জেলার সদর থানায় ০৬ (ছয়) জন ব্যবসায়ীকে ১৯,০০০ (উনিশ হাজার) টাকা জারিমানা এবং পিরোজপুর জেলায় সদর থানা ০৬ (ছয়) জন ব্যবসায়ীকে ২৩,০০০ (তেইশ হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে এরূপ অবৈধ কাজ না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন র্যাবের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।