মির্জা আহসান হাবিব ঃ গলাচিপার উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহনকৃত এই ১৫ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমার বাবা এখানে ঘরবাড়ি করে আমাদের নিয়ে বসবাস করছেন। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল ভূয়া মালিক সাজিয়ে এনে আমাদেরকে এখান থেকে উচ্ছেদ এবং আমাদের বসতবাড়ি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। তাই এই ভূমি দখলবাজদের হাত থেকে আমার বাবার চল্লিশ বছরের ভিটেমাটি রক্ষার জন্য আপনাদের কাছে আকুতি জানাচ্ছি। পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌর শহরের শ্যামলীবাগে বসত-বাড়ি অবৈধ দখল, ভাংচুর, চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আকুতি জানিয়েছেন স্কুল শিক্ষক ও সাংবাদিক আবদুল গনি স্মৃতি পাঠাগারের সদস্য মো. নেছার উদ্দিন। এ সময় মো. নেছার উদ্দিনের মা আলেয়া বেগম, বোন মাহমুদা আক্তার ও আরেক ভূক্তভোগী বকুল বিবি উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মো. নেছার উদ্দিন আরও জানান, জেলার গলাচিপা পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের শ্যামলীবাগে আমাদের ওই বসতবাড়ির গত ২০ বছর ধরে নিয়মিত পৌর করও পরিশোধও করে আসছি। তা সত্তে¡ও স্থানীয় মোস্তফা কামাল, দুধা মিয়া, আনোয়ার মোক্তার, নীল কৃষ্ণ বিশ^াস, নীল মাধব বিশ^াস, জামাল মৃধা, স্বপন আকন, সাইফুল ইসলাম ও ফোরকান মিয়াসহ আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জন তাদেরকে মারধর ও গাছপালা কেটে অবৈধভাবে জমি দখল করে নেয়। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে সুবিচারের আশায় তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাইনি। বরং মোস্তফা কামাল ও দুধা মিয়া অবৈধভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা তুললে বসবাস করছেন। বিষয়টি প্রমাণিত হলে ওই দুই ব্যক্তিকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তারা ওই চিঠিকে কোন কর্ণপাত না করে তাদের মতো করে দখল প্রক্রিয়া চালিয়েই যাচ্ছেন এবং আমাদের উচ্ছেদের অশুভ পাঁয়তারা চালাচ্ছেন’।
এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়ান ও ভিত্তিহীন। ওই জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নয়, রেকর্ডীয় সূত্রে ওই জমির মালিক নিখিল চন্দ্র বিশ^াস এবং সে কারণে পৈত্রিক সূত্রে ওই জমির মালিক নীল কৃষ্ণ বিশ^াস। আমিও তাদের কাছ থেকে কিছু জমি ক্রয় করি এবং অভিযোগকারী নেছার উদ্দিনরাও ওই জমি ক্রয়ের জন্য ১০ হাজার টাকা বায়না দেয়। পরে তারা জমির দলিল রেজিস্ট্রি না করে নানা তালবাহনার মাধ্যমে ওই সম্পত্তি ভোগ দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
