এম কামরুল হাসান, জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় গত ১৭ মার্চ শুক্রবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের আহতের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজ এমপির পক্ষ। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় জনতা ভবনে এমপির পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম ফারুক স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে তিন পক্ষ আ স ম ফিরোজ, আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েল ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি ঘোষনা করেন। প্রশাসন তিন পক্ষের সঙ্গেই কথা বলে সময় নির্ধারন করে দেন। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত ভাবে কয়েকশ লোকজন নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে আসতে চায়। এ সময় তাদের পুলিশ বাঁধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। যেখানে এমপি পক্ষের কোন নেতা কর্মী ছিল না। তখন এমপি আ স ম ফিরোজ জনতা ভবনের সামনে গাড়িতে অবস্থান করতে ছিল। যা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২শ মিটার দূরে। অথচ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ’এমপির সামনে কোপালো উপজেলা চেয়ারম্যানকে’ যা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান যখন আহত হন। তখন এমপি আ স ম ফিরোজ সামনে ছিলেন না। এমনকি তাঁর কোন কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিল না। অনাকাঙ্খিত এই ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এমপি পক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম ফারুকসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
