বাউফল প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর বাউফলে ১৭ বছর পর উপজেলা ও পৌর ছাত্র দলের আহয়ক কমিটি ঘোষাণা করা হলেও তা প্রত্যাখান করেছেন খোদ আহবায়ক নিজেই। তিনি দাবি করেন অছাত্র, বিবাহিত ও অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে । গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপির সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ কমিটি প্রত্যাখান করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে পুনরায় কমিটি গঠনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক তৌসিফুর রহমান রাফা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাউফল উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের আলাদা দুইটি ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মুজাহিদুল ইসলাম ২০০৯ সালে পটুয়াখালী পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিজান বিবাহিত। পৌর ছাত্র দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব সাদেকুজ্জামান রাকিবের বাবা সখা মিয়া পৌর আওয়ামী লীগের এক সময়ে সদস্য ছিল। তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন এবং মাদক বিক্রি ও সেবনের সাথে জড়িত। উপজেলা আহবায়ক কমিটির ৬ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সুজন মল্লিক বিবাহিত। এক সন্তানের জনক এবং ১৩ নম্বর যুগ্ম আহাবয়ক ফয়সাল হোসেন তার ভাই। তিনি বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদল ও বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত টিমের কাছে প্রমাণসহ অীভযোগ করা হলেও তারা তা আমলে নেননি।
সংবাদ সম্মেলনে পৌর ছাত্র দলের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল ফাহাদ তার বক্তব্যে বলেন, তার কমিটির অধিকাংশ সদস্য তার পরিচিত নয়। কখনো ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। তাদেরকেও কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাদেকে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নব গঠিত আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শীরয়ত উল্লাহ সৈয়কত, যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান সোহেল, যুগ্ম আহবায়ক মারজান বিন জাহাঙ্গীরসহ উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক আল হেলাল নয়নের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।