পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::: পটুয়াখালীর বাউফলে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাক্ ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, কিশোরীর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ জানানোয় মা ও ফুফুকে মারধর করেন অভিযুক্ত ব্যক্তির বাবা ও ভাই। মারধরের ঘটনায় তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক।
এসব ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে বাউফল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। তাঁরা হলেন হোসেন হাওলাদার, তাঁর বাবা সেলিম হাওলাদার ও ভাই হাসান হাওলাদার।
কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন কিশোরীর মা ও ফুফু।
ওই কিশোরীর মা অভিযোগ করেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তাঁর প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে রেখে পাশের বাড়িতে যান তিনি। সেই সুযোগে প্রতিবেশী হোসেন কৌশলে তাঁর মেয়েকে ডেকে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। হঠাৎ মেয়ের চিৎকার শুনে তিনি সেখানে গেলে হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করলে কিশোরীর মা ও ফুফুকে মারধর করেন হোসেনের বাবা সেলিম ও ভাই হাসান। তাঁদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
ঘটনার পর পর হোসেন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হোসেনের বাবা সেলিম হাওলাদার ও ভাই হাসান হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’