কামরুল হাসান,বাউফল প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম। আর এইসব সাংবাদিকের ফাঁদে পড়ে হয়রানি শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের অভিযোগ, সাংবাদিক পরিচয়ে সংবাদ প্রকাশের কথা বলে অর্থ আদায়, দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি,
তবে স্থানীয়রা এই সব নামধারী সাংবাদিকদের বিষয়ে মুখ খুললেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। আর এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী বলেন, “কিছুদিন আগে আমার কাছে এক সাংবাদিক টাকা নিয়েছে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করবে বলে। টাকা নেওয়ার পরে ঐ সাংবাদিকের আর কোন খোঁজ-খবর নাই।
বাউফলের আরেক বাসিন্দা বলেন, বাউফল থানার সামনে দেখবেন সাংবাদিক পরিচয়ে কিছু ব্যক্তি ঘুর ঘুর করে। ওরা সাংবাদিক পরিচয়ে থানায় গিয়ে বিভিন্ন মামলার তদবিরও করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ সদস্য বলেন, “সাংবাদিকের কাজ সংবাদের জন্য তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ লেখা। কিন্তু বাউফলে দেখতেছি অমুক তমুক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থানায় এসে মামলার বিষয়ে সুপারিশ করে।
সাংবাদিকতার যে মহান পেশা সকল শ্রেনী -পর্যায়ের ঘুষ দুর্নীতি, অনিয়ম বিভ্রান্তি, অসঙ্গতির বিস্তারিত তুলে ধরে এখন সে পেশার নাম ভাঙ্গিয়েই চলছে ভয়ঙ্কর ফাকিবাজি চাদাবাজি।অনেকেরই তা জানা আছে সাংবাদিক না হয়েও সাংবাদিকতার ভেষভূষা তাদের মূল পুজি অখ্যাত একাধিক গনমাধ্যমের ৪/৫ টি আইডি কার্ড ঝুলিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় সর্বত্র।
ভুয়া সাংবাদিক দিন দিন বাড়ছে এ কথা সত্য দাবি করে
বাউফল প্রেসক্লাব এর সভাপতি ও জনকন্ঠের নিজস্ব সংবাদদাতা কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন যারা লেখাপড়া না করে ভুইফোর মিডিয়ার কার্ড সংগ্রহ করে সাংবাদিকতার নামে বিভিন্ন জায়গায় চাদাবাজি করছে, সচেতন মহলের উচিৎ তাদের ধরে আইনের কাছে সোপর্দ করা।
তিনি আরে বলেন, আমরাও চাই সাংবাদিক পরিচয়ে যেন কেউ অপরাধ করার সুযোগ না পায়।
