২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বাউফল স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতার বিরুদ্ধে ৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

কামরুল হাসান, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের রিমন সিকদার (৩১) ও লিটন খন্দকারের (৪০) নামে দুই নেতার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর ৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সৌরভ বশার বাউফল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। 

দলীও সুত্রে জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি রিমন সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক লিটন খন্দকার।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ব্যবসায়ী সৌরভ বশার তার পেট্রোলবাহী লরি (নম্বর: ঢাকা মেট্রো ঢ-৪২-০০২৫১) নিয়ে বাউফলের আদাবাবাড়িয়া ইউনিয়নের সিদ্দিক বাজার এলাকায় পৌঁছান। এ সময় স্থানীয় খন্দকার এন্টারপ্রাইজের মালিক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক লিটন খন্দকার বাকিতে পেট্রোল চান। সৌরভ বশার তাতে অপারগতা প্রকাশ করলে ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এসে বলেন, এলাকায় পেট্রোল বিক্রি করতে হলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিরা সৌরভ বশারের কাছে থাকা ৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ভর্তি একটি কালো ব্যাগ ছিনিয়ে নেন।

এছাড়াও, লরিতে থাকা ৪০০ লিটারের দুই ব্যারেল পেট্রোল এবং ম্যাক্স-প্রো ব্র্যান্ডের ২৪টি মবিল জোরপূর্বক নামিয়ে রাখে। বাধা দিতে গেলে সৌরভ বশারকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। তার সঙ্গে থাকা গাড়ির চালক মো. নুর হোসেন (৩২) এবং সহকারী মো. জনি এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে সৌরভ বশার ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

অভিযোগের বিষয়ে লিটন খন্দকার বলেন, আমি নিয়মিত সৌরভ বশারের কাছ থেকে পেট্রোল ক্রয় করি। ঘটনার দিনও দুই ব্যারেল পেট্রোল কিনি, তবে প্রতিটি ব্যারেলে ১২-১৪ লিটার করে কম ছিল। আমি এ বিষয়ে আপত্তি জানালে সৌরভ বশার রেগে যান এবং আমাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তখন স্বেচ্ছাসেবক দলের ইউনিয়ন সভাপতি রিমন সিকদার এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে টাকা ছিনতাই বা পেট্রোল নামিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য করা হয়েছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন,সৌরভ বশার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ