বরিশাল বাণী: সরকারি কাজে বাধা দান ও চিকিৎসককে প্রাণনাশের হুমকি ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম খান ওরফে ঘুডু কালামকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন।
এর আগে ছাত্রলীগ নেতা দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার প্রেক্ষিতে দুপুর ১টায় চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান খান বাকেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মনিরুজ্জামানকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম খান লাঞ্ছিত করেন।
ঘটনার শিকার বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান খান বলেন, তিনি নিজে দুপুরে থানায় গিয়ে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- শনিবার দুপুর দেড়টায় কোভিড-১৯ ও ডায়রিয়া প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় দায়িত্বপালনকালে ছাত্রলীগ নেতা মো. আবুল কালাম খান মাস্ক না পড়ে জরুরি বিভাগে প্রবেশ করেন। কিন্তু মাস্ক পড়ে আসতে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার শিশু পুত্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দাবি করে চিকিৎসার জন্য ক্যানোলা পড়াতে জোর জবরদস্তি করতে থাকে। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় কালামের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে হাঁটুতে আঘাত পান।
স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্রুত তাকে সরিয়ে নিলেও কালাম তাকে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ঘটনাস্থলে আরএমও ডা. ইসমত জেরিন জুই ছিলেন। পরে পুলিশ এলে কালাম পালিয়ে যায়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়- হাসপাতালে নির্বিঘ্নে স্বাস্থ্যকর্মীদের সরকারি দায়িত্ব পালন ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিধিমোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ নেতা কালামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
এর আগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম দাবী করেছেন, তার গোটা পরিবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। তিনি শনিবার তার অসুস্থ শিশু পুত্রকে হাসপাতালে নিয়ে ডা. মনিরুজ্জামানকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার আনুরোধ করেন। কিন্তু চিকিৎসক মাস্ক পড়ার জন্য তাড়া দেন। এ নিয়ে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে।