১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাকেরগঞ্জ২নং ওয়ার্ড বাসিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউপি সদস্য প্রার্থী ইব্রাহিম আহমেদ অভি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি–

ইব্রাহিম আহমেদ অভি তার নির্বাচনী এলাকা ২ নং ওয়ার্ড সহ দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা বাণীতে সবার শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করেছেন।কোরবানির মর্ম অনুবাধন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে সকলকে সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে।পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।তিনি বলেন, আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অকুণ্ঠ আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা অতুলনীয়।তিনি বলেন, আল্লাহর প্রতি এই অকৃত্রিম ভালোবাসা ও ত্যাগের আদর্শ আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য।আযহার অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। তা প্রসারিত করতে হবে সকলের কর্ম ও চিন্তায়।বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। এখানে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম ও আচার অনুষ্ঠানাদি পালন করে আসছে। এটি বাংলাদেশের সম্প্রীতির এক অনুপম ঐতিহ্য। সকল ধর্মের মূলবাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ। তাই ধর্মের অপব্যাখ্যা করে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। কোরবানির শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হোক। তিনি বলেন, “পবিত্র ঈদুল আযহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক উৎসর্গ ও ত্যাগের মহিমা- মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।”ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়।তিনি বলেন, “আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল-আযহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ গ্রহণ করি এবং বৈষম্যহীন সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।”তিনি উল্লেখ করেন, মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয়বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভে যে অনন্য দৃষ্টান্ত হযরত ইব্রাহীম (আ.) স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।প্রতিবছর এ উৎসবের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছল মুসলমানগণ কোরবানিকৃত পশুর গোস্ত আত্মীয়স্বজন ও গরিব-দুঃখীর মাঝে বিলিয়ে দিয়ে মানুষে-মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠিত করেন।প্রতিবারের মতো এবারও কোরবানির ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে আনুক – এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, “পবিত্র এই দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি।

সর্বশেষ