১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বানারীপাড়ায় পুত্রবধু যৌতুকের নির্যাতনের শিকার

 

উজিরপুর প্রতিনিধি ঃ উজিরপুরের মেয়ে বানারীপাড়ার গৃহবধু যৌতুকের কারণে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভাসুর থানার বাবুর্চি বলে কথা। অব্যাহত হুমকি আর ভয়ভীতিতে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না অসহায় পরিবার। নির্যাতিতা সূত্রে জানা যায়, উজিরপুর উপজেলার দক্ষিণ সাতলা গ্রামের রাজ্জাক শেখের মেয়ে ফাহিমা বেগম (২৩) ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠী গ্রামের মৃত তালেব হাওলাদারের ছেলে কাঠমিস্ত্রী শাহিন হাওলাদারের সাথে ৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই যৌতুকলোভী স্বামী শাহিন হাওলাদার বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীকে মারধর করে পিতার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য পাঠিয়ে দিত। কিন্তু বাবার বাড়িতে গিয়েও তার আর্থিক অনটনের কথা চিন্তা করে টাকা না নিয়ে পুনরায় স্বামীর কাছে ফিরে যায়। কখনো কখনো ধারদেনা করেও যৌতুকের টাকা দিতে বাধ্য হয়। গত ৩০ মার্চ পুনরায় স্বামী শাহিন হাওলাদার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। স্ত্রী টাকা আনতে অস্বীকার করায় তার উপর চলে নির্যাতনের স্টিম রুলার। এক পর্যায়ে দরজা বন্ধ করে ৪ বছরের পুত্র সন্তানের সামনে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে ফুলা জখম করে। এতে দুই হাত, পিঠ এবং গলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ক্ষতের চিহ্ন হয়েছে। মেয়ের পিতা রাজ্জাক শেখ বলেন, মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অসহায় দরিদ্র হয়েও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অবদার পূরণ করেছি। তার পরেও প্রায়ই মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে। এ নিয়ে বহুবার শালিস বৈঠক হয়েছে। কান্নাজড়িত কন্ঠে গৃহবধু ফাহিমা বেগম জানান, ছোট পুত্র সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে শত নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর সংসার করছি। কিন্তু সে প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য মারধর করে এবং তার স্বামীর বড়ভাই মনির হাওলাদার বানারীপাড়া থানার বাবুর্চির ক্ষমতা দেখিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছি না। প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তিনি। এ ব্যপারে অভিযুক্ত স্বামী শাহিন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, তারসাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। যৌতুক ও নির্যাতনের কথা তিনি অস্বীকার করেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ